নি
উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। গ্রামে গুলোতে পুরোপুরি শীত পড়ে গেছে। গায়ে উঠেছে শীতবস্ত্র। এ অঞ্চলে পুরনো শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের দখলে বিভিন্ন স্থানের রাস্তাসহ রেললাইনের পাশের ফুটপাত।
নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এ কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ তাদের বেশি দামে নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য থাকেনা। তাই পুরাতন শীতবস্ত্রের দিকেই ঝুঁকে পড়ছে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
গত কয়েক দিনে তুলনামূলক বেশি শীত পড়ায় শহরে লেপ-তোষক তৈরি ও গরম কাপড় কিনতে ঝুঁকেছে মানুষ। এসব কাপড় ব্যবসায়ীরা শীতের মৌসুমে দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করছেন।
শীতের কাপড় কিনতে আসা কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারী চরের মাহুয়া বেওয়া বলেন,মানুষের বাড়িতে কাজ করি দিন ৮০টাকা পাং মুই। সেই টাকা দিয়ে মোর(ওই টাকা দিয়ে আমার) স্বামী মারা যাবার পর সেই ব্যাটিক দেখা নাকে( স্বামী মৃতু পর থাকে দেখা লাগে) একটি কম্বল পাইনি এবার। মাহুয়া আরো বলেন, বড় দোকানোত কাপড় কিনবার টাকা পয়সা হয় না (বড় দোকানে কিনতে সেই টাকা নেই। বাড়িত মোড় (৮০) বছরের বৃদ্ধ মাও আছে তাকো কিছু দিবার পানু না বাগে! কষ্ট করিয়া তবুও মার মার জন্য এখান ফাটা কোম্পানীর কম্বল নিছি ৯০টাকা দিয়।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর )বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়ক দুই পার্শ্বে অশংখ পুরাতন কাপড়ের দোকান রয়েছে। তাদের কাছে জানতে গেলে এক কাপর ব্যাবসায়ী বলেন, পুরাতন কাপড়ের গাইট খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি শুরু হয়। পুরাতন বিভিন্ন রকমের কাপড় থাকে সেই গাইটে। এ বছর আমদানি করা পুরাতন কাপড়ের দাম একটু বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে শহরের লেপ-তোষক তৈরির দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। অতিরিক্ত অর্থের আশায় দিনরাত কাজ করছেন তারা। তবে এ বছর লেপ-তোষক তৈরিতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
লেপ ব্যবসায়ী জানান, লেপ তৈরিতে জুম বা আটি তুলার দাম গত বছরের চেয়ে প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া লেপ তৈরির জন্য ব্যবহৃত প্রতি গজ শালু কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষক বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।