আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বিএনপির অস্তযাত্রা

শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০১৬, সকাল ০৮:০৭

বগুড়ার নয়টি পৌরসভার মধ্যে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীসহ পাঁচ আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে মেয়রের মুকুট পরিয়েছে ভোটাররা। বাকি চার পৌরসভায় মেয়র আসনে বসতে পেরেছেন বিএনপির এক বিদ্রোহীসহ চার বিএনপি মেয়র।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বিস্ময়কর বিজয় শিবগঞ্জ পৌরসভায়। এই পৌরসভায় প্রায় ৪২ বছর পর বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। গত শতকের ১৯৭৩ সালের পর বেশিরভাগ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসন পায়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনটি ছিল বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির। পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর পৌর প্রশাসক নিয়োগ পান বিএনপি নেতা। পরে দুই দফা পৌর নির্বাচনেও মেয়রের আসনটি যায় বিএনপির ঘরে। পৌর প্রশাসক ও নির্বাচনে মেয়রের পদটি থাকে একই ব্যক্তির কাছে। মজার বিষয় হলো মেয়র মতিয়ার রহমান মতিনের সঙ্গে প্রতিবারই ভোটের লড়াইয়ে মাঠে ছিলেন আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক। এবারও ছিলেন এই দুইজন। ফলাফলে এক হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী।

পৌর এলাকার লোকজনের পরিষ্কার কথা, সংসদ নির্বাচন, পৌর নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় পার্টি জামায়াতকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এবার দেখা যাক আওয়ামী লীগ কী করে। কয়েক প্রবীণ বললেন, জামায়াত তো গেছেই, জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপির অস্তযাত্রা এখন সময়ের ব্যাপার। আগের দুই মন্তব্য অনেকটা বোঝা গেল। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দম্ভ করা জামায়াত ও বিএনপি নেতার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও কয়েকজনের বিচার চলায় জামায়াতের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন এবং তার পথ ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যে কটাক্ষ করেছেন তা বিএনপির অনেক নেতা মেনে নিতে পারেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক নেতা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে গড়ে তোলা বিএনপি নেত্রীর মুখে এসব কথা রাজনীতিকে অনেক নিচে নামিয়েছে। একবিংশ শতকে প্রজন্মের মেধা ও আধুনিকতার অগ্রযাত্রায় বিএনপি নেত্রীর এমন মন্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বাড়ি বগুড়া হওয়ায় বিএনপির নেতারা যে বগুড়াকে বিএনপির ঘাঁটি বলে মনে করেছিল সেখানেই বিএনপির এই অধঃপতন। তারপরও কি আর বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে বগুড়ার পরিচিতি থাকে! এবারের পৌর নির্বাচনে সেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়েছে।

এমনও বলাবলি হয় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলে বগুড়ার দুই একটি ছাড়া বাকি সকল পৌরসভার মেয়র পদ আওয়ামী লীগের ঘরেই যেত। এর আরও একটি বড় প্রমাণ বগুড়া সদর পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের ২১ ওয়ার্ড কাউন্সিলের মধ্যে ১১টি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ৮টি ও জামায়াত দুইটি।

বিএনপির কথিত ঘাঁটি বগুড়াতেই এভাবে ধস নামা শুরু হয়েছে। শিবগঞ্জ এলাকার বিএনপির কয়েক নেতা বলেন, গেল বছরের (২০১৫) শুরুতে বিএনপি টানা প্রায় তিন মাস আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে যে কষ্ট দিয়েছে, জামায়াত বিএনপির সঙ্গে থেকে যে ধ্বংস-সহিংসতা চালিয়েছে তারপরও কিভাবে তারা (বিএনপি) আশা করে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের পক্ষে থাকবে! পৌর নির্বাচনই তো তার বড় প্রমাণ। নির্বাচনের আগে বিএনপি কী-ই না বলল! নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

জোর করে সব ছিনিয়ে নেয়া হবে! ফল কী দাঁড়াল! বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সারাদেশে সাধারণ মানুষ কার্যত বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করল। বিএনপির কথিত ঘাঁটি বগুড়া বর্তমানে হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো। দেখতে না জানি কী, ভিতরে ফানুস।

মন্তব্য করুন


 

Link copied