আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুরে শতাধিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

সোমবার, ৬ মে ২০১৩, সকাল ০৯:০৭

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর নগরীতে শতাধিক ভবন এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে ভবন ধসের ঘটনা। নগরীতে নতুন পুরাতন এসব ভবন বসবাসের অনুপযোগী হলেও সেখানে চলছে বসবাসসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। এ ভবনগুলোর মধ্যে যারা বসবাস করেন তারা থাকেন সব সময় দুশ্চিন্তায়। অথচ এখনই কর্তৃপক্ষের বোধোদয় না হলে কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে এমন প্রশ্ন নগরবাসীর। রংপুর গণপূর্ত ও আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ভবনগুলো ধসে ক্ষতি হওয়ার আশংকা মাহিগঞ্জে বেশি। তাছাড়া ভূমিকম্পের ঝুঁকিতেও আছে এ অঞ্চল। গত তিন বছরে প্রায় ৬৮টি ভূমিকম্প হয়েছে রংপুরে। রংপুর নগরীর প্রায় শতাধিক ভবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনেক ভবনেরই বয়স শত বছর ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধুমাত্র আইনি জটিলতার কারণে ভবনগুলো ভেঙে ফেলা যাচ্ছে না।

ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে মোসলেম উদ্দিন ছাত্রাবাস, সিটি করপোরেশনের পুরাতন ভবন, জাহাজ কোম্পানী মোড়স্থ মেঘরাজ কালাচাঁদ ভবন, গোল্ডেন টাওয়ারের বিপরীতে একটি ভবন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশন রংপুর শাখা ভবন, রংপুর সমবায় ব্যাংক ভবন, সোনালী ব্যাংকের মূল ভবন, আরডিসিসিএল ভবন, মাহিগঞ্জ পুরাতন মসজিদ ও মন্দির, আফানউল্লাহ হাইস্কুল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, আজাদ প্রোডাক্ট বিল্ডিং, জাতীয় পার্টি অফিস সংলগ্ন ছবিঘর ভবন, ফায়ার সার্ভিসের পরিত্যক্ত ভবন, টাউন হল সংলগ্ন লক্ষ্মী সিনেমা হল ও তার পাশের স্টাফ কোয়ার্টার, দর্শনা মোড়স্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের পল্লী নিবাস ভবনের বিপরীতে কেসি ছাত্রাবাস, কারমাইকেল কলেজের পুরাতন বিএনসিসি ভবন, শিক্ষকদের হোয়াইট হাউস ভবন, ছাত্রদের জিএল ও কেবি ছাত্রাবাস, লালবাগের কয়েকটি ছাত্রাবাস, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি, সেনপাড়ার টিপাইদির বাড়ি, বাকালী হাউস, মেডিকেল এলাকার স্টাফ কোয়ার্টার, ডিসি অফিসের পিছনে কোর্ট ভবন, দেওয়ানবাড়ি, গুপ্তপাড়াসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। সরেজমিনে এসব ভবন ঘুরে দেখা গেছে বড় বড় ফাটল। ভবনের দেয়ালের গায়ে জন্ম নিয়েছে পরগাছা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনগুলোতে অনেকেই দিব্যি বসবাস করছে। বিষয়গুলো নিয়ে বারংবার পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মোঃ জুননুন বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে না। হঠাৎ করে সাভারের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে দুঃখ প্রকাশ আর তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া কিছুই হবে না।

রংপুর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলি অধিকাংশ অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি। সরকার চাইলেও আইনি জটিলতায় এগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে না। বসবাসকারীরা এসব ভবন লিজ নিয়ে দখলস্বত্ব ধরে রেখেছে। দখল হারানোর ভয়ে তারা ভবন ছাড়ছে না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু বলেন, নগরীতে যেসব ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড ও প্রকৌশলীদের পরামর্শ মানা হয়নি বা এখনও মানা হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই মাঠে নামা হবে। নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied