আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

অর্ধেক স্কুল শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের শিকার

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, রাত ০৮:৪৭

শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কার্যক্রম ও আচরণবিধি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝে উঠতে টেলিনর গ্রুপ মঙ্গলবার নিরাপদ ইন্টারনেটের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এ গবেষণায়, বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোসহ ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের ১ হাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জরিপ চালানো হয়।

সাইবার বুলিংসহ ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে টেলিনর এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালনা করেছে। প্রভাববিস্তারকারী আচরণের ধরণ বুঝতে, শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করে তুলতে এবং এ বিষয়ে কার্যকরী সমাধানের জন্য এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।

পারিপার্শ্বিক চাপ: জরিপকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী জানায়, পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে তারা একবার করে হলেও অনুপোযোগী ওয়েবসাইট ভিজিট করছে কিংবা অনলাইনে অশালীন ভাষা ব্যবহার করছে।

সাইবার বুলিং: গবেষণায় আরও জানা যায়, শিশুদের ইন্টারনেটে সহজে প্রবেশাধিকারের কারণে বাবা-মায়েদের কাছে আলোচিত ও শঙ্কার একটি বিষয় হচ্ছে সাইবারবুলিং। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর একই ব্যক্তির দ্বারা উৎপীড়নের শিকার হওয়া অথবা অনলাইনে উত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথবা, তারা নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে অন্যকে উত্যক্ত করেছে।

নেতিবাচক অভিজ্ঞতা: শিক্ষার্থীরা প্রায়শই, সাইবারবুলিং ও পারিপার্শ্বিক চাপের শিকার হয়। এরপর তাদের এ নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে সামাল দেয়ার ব্যাপারে তাদের দক্ষতা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা মনে করে নিজেরা অথবা বাব-মা ও শিক্ষকদের পরামর্শের মাধ্যমে তারা এ ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

ঝুঁকি হ্রাস: ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন কিছু ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইটে মাদক, অস্ত্র, আত্মহত্যা এবং নিজেকে ঘৃণা করা জাতীয় প্রচারণা চালানো। তবে, সাধারণ স্কুল শিক্ষার্থীরা এগুলোকে খুব একটা হুমকি মনে করে না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জানায় তারা এ ধরনের ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলে। এ গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা অনলাইনে ‘সেক্সটিং’ নামে পরিচিত অশোভন কোনো বার্তা পাঠাবে না।

বাবা-মা ও স্কুল থেকে সাহায্য নেয়া: সারাদেশজুড়ে পরিচালিত এ গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্ধেকের কম স্কুল শিক্ষার্থী অনলাইনে এ ধরনের সমস্যায় যখন বুঝতে পারে না কিভাবে এর সমাধান করবে তখন তারা এর সমাধানের জন্য বাবা-মা ও শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। জরিপকৃত শিক্ষার্থীর মাত্র ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা এ ব্যাপারে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে।

কিভাবে আমরা ইন্টারনেটকে শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ করে তুলতে পারি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে টেলিনর গ্রুপ একটি নিরাপদ ইন্টারনেট গাইডবই প্রকাশ ও বিতরণ করেছে। অভিভাবকরা এ গাইড বইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট নিয়ে কিভাবে তারা শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

টেলিনরের হেড অব সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ওলা জো বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর গ্রুপ ইন্টারনেটে সবার জন্য বিশেষত: তরুণদের মধ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, টেলিনর আশা করে, শিশুরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এ নিয়ে টেলিনরের দেশভিত্তিক এ গবেষণা ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক বাবা-মা ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেটের গুরুত্ব বোঝার ওপর জোর দিবে।

পাশাপাশি, এ গবেষণা ডিজিটাল সম্ভাবনা, বাবা-মায়েদের শিশুদের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করা এবং এ নিয়ে তাদের উপদেশ দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।’

এরইমধ্যে গ্রামীণফোন মঙ্গলবার, নিরাপদ ইন্টারনেট সচেতনতা নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচইউআরডিসিও ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে একটি সেশন আয়োজন করার মধ্য দিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উদযাপন করেছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied