তখনই ওই বাগান মালিকের স্ত্রী দেখে ফেলে ফুল তুলতে। অনেক রাগারাগি করার কারণে আখিঁসহ ৪ বান্ধবী চলে যায় সেখান থেকে। কিছুক্ষন পর বাগান মালিক নাসিরুল ইসলাম আখিঁর বাসায় গিয়ে আরো গালি গালজ শুরু করে। ওই ব্যক্তি বাড়ি ত্যাগ করার পর অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে আখিঁ। সবাইকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। আর কোনদিন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হবে না আখিঁর। আখিঁর এই আত্মহত্যায় পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রবিবার রাত ১টায় এ ঘটনা ঘটে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মালিগাও এলকার কাবুলের মেয়ে আখিঁ। সে ভগদগাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ মালিগাও এলাকার আখিঁ সহ ৪ বান্ধবী শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য পাশের একটি বাগানে ফুল তুলতে যায়। ফুল তোলার সময় মালিকের স্ত্রী দেখে ফেলে রাগারাগি করের। পরে বাগান মালিক আখিঁদের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করলে অভিমানে সবার অজান্তে গলায় রসি দিয়ে আতœহত্যা করে। পরে পরিবারের লোক আখিঁর ঘরে ঢুকতে চাইলে সারা না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে আখির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে আখির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
আখির বাবা কাবুল জানান, মেয়েটি তো শুধু কয়েকটি ফুলই তুলে ছিল। তার জন্য এত গালিগালাজ করতে হবে। সে কারণেই আখিঁ আমাদের মাঝ থেকে চিরতরে চলে গেল।
বাগান মালিক নাসিরুল ইসলাম জানান, একটি বাগান করতে অনেক খরচ লাগে। মেয়েগুলো আমাদেরকে না জানিয়ে ফুল তুলেছে। তাই একটু বকাবকি করেছি মাত্র। এতটুকু কারনে সে আতœহত্যা করতে পারে না।
স্থানীয় চেয়ারম্যান দবিরুল ইসলাম আখিঁর আতœহত্যার কথা নিশ্চিত করে বলেন বেশি আবেগের কারনে এমটি ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল মান্নান জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তার আত্মহত্যার কারণ এখনো পুলিশ জানতে পারেনি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।