আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ডোমারে আঃলীগের এমপির সঙ্গে জামায়াতের আমির

শনিবার, ২৬ মার্চ ২০১৬, বিকাল ০৭:০৫

বিশেষ প্রতিনিধি,ডোমার(নীলফামারী) থেকে॥ জামায়াতের এক নেতার সাথে পাশাপাশি বসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে খোঁশ গল্পে মেতে উঠেছিলে নীলফামারী ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। ওই জামায়াত নেতা হলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আমির মওলানা আব্দুল হাকিম। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে। ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার সকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ এবং ডিসপ্লে প্রর্দশনীর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উক্ত সংসদ সদস্য।ওই অনুষ্ঠানেই এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে পড়েন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিয়া সুলতানা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল,সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  মোঃ নুরননবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব করিমুল ইসলাম,ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তোলার চেষ্টা করলে জামায়াতের আমির তার মুখটি ঘুরিয়ে নেন। আর সংসদ সদস্য তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলছিলেন। domar pic 2 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ডোমার উপজেলা  জামায়াতের আমির উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠ। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সুচনা লগ্নে রাত ১২টা ১ মিনিটে স্থানীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করতে আসেননি এই জামায়াতের আমির । অথচ সকালে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের সাথে ঠিকই উপস্থিত হয়েছিলেন  এই জামায়াত নেতা।ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনের সারির আসনের বসার  ব্যবস্থায় জামায়াতের আমিরের সাথে প্রথম দিকে  আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের বসার চেয়ারের দুরন্ত থাকলেও পরবর্তিতে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন তারা।অথচ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান হয়েছিল পেছনের সারিতে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের একই মঞ্চে পাশাপাশি চেয়ারে জামায়াত নেতার সাথে সংসদ সদস্যের খোঁশ গল্প  গ্রহন করেনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মীরা। অনেকে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হন। তারা বলছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যদি তিনি (জামায়াত নেতা) কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পনের সময় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে তিনি  কেন অনুপস্থিত ছিলেন । তারা আরো বলেন স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় সরকার ইতি মধ্যে জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করেছে। আর জামায়াত কখনো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনা। তারা জ্বালাও পোড়াও বোমাবাজীতে বিশ্বাসী। এমন নিষিদ্ধ দলের আমিরের সাথে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের খোঁশ গল্প মেনে নেয়া যায়না। domar pic 1 এ বিষয়ে কথা বললে ডোমার আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের পাশাপাশি বসে খোঁশ গল্পের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়েছি। যা নিজের বিবেকের কাছে সহ্য করতে না পেরে নিজেই অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হই। অথচ এ বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কোন প্রতিবাদও করতে পারেননি। তিনি বলেন হয়তো তারাও মুখ বুছে সহ্য করেছিলেন।যা আমি পারিনি বলেই অনুষ্ঠান স্থল থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মন্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা  সম্ভব হয়নি। প্রকাশ থাকে চলতি বছরের ১২ মার্চ নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার ডিমলা উপজেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে তার বাসভবনে সমাবেশ করেছিলেন। সেদিন বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত ছুটির তালিকায় এনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতে সেদিন কোন স্কুলে ক্লাস হয়নি। ওই সংবাদটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এতে সংসদ সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে মন্তব্য করেছিলেন  এসব সাংবাদিকরা  জাতীয় পাটি ও জামায়াতের দালাল। এখন প্রশ্ন উঠেছে দালাল আসলে কে?

মন্তব্য করুন


 

Link copied