স্টাফ রিপোর্টার: দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে দাবি করে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার বদল হয়। কিন্তু দু’দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তা হয়নি। বরং সহিংসতার কারণে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্র গুলোতে হয়েছে ভোট কারচুপি ও অনিয়ম। তাই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি।
শনিবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে ‘নির্বাচনে সহিংসতা রোধে করণীয়’ বিষয়ে আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও কর্মীরা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা বলেন, দলীয় প্রতীক, পেশীশক্তির ব্যবহার ও প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যেমন সহিংসতা রোধ করা সম্ভব, তেমনি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বদল ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় যেন স্বজন হারাতে না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই। টেকসই গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য থাকতে হবে জবাবদিহিতা।
অনাকাঙ্খিত মৃত্যু নয়, সরকারকে দিতে হবে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের নিশ্চয়তা। দিতে হবে ভোটারদের নিরাপত্তা।
নির্বাচনে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয় দাবি করে পারিবারিক এবং তৃণমূলে সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনার দাবি উঠে আসে আলোচনায়।
রংপুর জেলা সুজনের সহ সভাপতি ফকরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর নগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন, রংপুর জেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সদস্য সচিব ও সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার, রংপুর চেম্বার সভাপতি আবুল কাশেম, ওয়ার্কাস পার্টির নজরুল ইসলাম হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমানম, জেলা জাসদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট একরামুখ হক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.তুহিন ওয়াদুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও এনজিও কর্মী।