স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর জলঢাকা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিব সাদিক নোভা। বেসরকারি ফলাফলে নারিকেল গাছ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র ফয়সাল ফাহমিদ চৌধুরী কমেট (রেল ইঞ্জিন) প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৭ ভোট।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই নির্বাচনে মোট তিনজন প্রতিদ্বন্দীকা করেছিলেন। মোবাইল ফেন প্রতিকে ৩ হাজার ৩৩৫ ভোট পান উপজেলা জামায়াতের আমির ছাদের হোসেন।
রবিবার(২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে ও গণনার পর বিকাল সারে ৫টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে বেসরকারী ভাবে এই ফলাফল ঘোষনা করেন রির্টানীং কর্মকর্তা।
ভোটাররা জানান, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে তারা ভোট কেন্দ্রে এসে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে ইভিএম যন্ত্রের অনুভুতিতে ওই কেন্দ্রের ভোটার সুধান চন্দ্র রায় (৫০) বলেন, সময় কম লাগে, মার্কা চিনতে সুবিধা হয়। অপর ভোটার তছলীম উদ্দিন (৬০) ও পুলিন চন্দ্র রায় (৩৬) একই কথা জানিয়ে বলেন, মানুষ যে যার মত করে এসে ভোট দিয়েন যাচ্ছেন। ইভিএম যন্ত্রের কারণে সময় কম লাগায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়নি।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৭৭৪ এবং মহিলা ১৮ হাজার ৪১৭ জন।
রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় ছিল। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহলে ছিল।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী মেয়র উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবুলের আকষ্মিক মৃত্যুতে মেয়র পদটি শুন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রয়াত সাবেক পৌর মেয়র বাবুলের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতিকের নাসিব সাদিক হোসেন নোভা ভোট করেন।