আর্কাইভ  রবিবার ● ২০ জুলাই ২০২৫ ● ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২০ জুলাই ২০২৫
২০ জুলাই: কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ, শাটডাউন প্রত্যাহারের ‘গুজব’, সমন্বয়কদের প্রত্যাখ্যান

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
২০ জুলাই: কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ, শাটডাউন প্রত্যাহারের ‘গুজব’, সমন্বয়কদের প্রত্যাখ্যান

জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

আজকের এই দিনে রংপুরে শহীদ হয়েছিলেন ৪ জন

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
আজকের এই দিনে রংপুরে শহীদ হয়েছিলেন ৪ জন

রংপুরের সাবেক এসি ইমরান “ তথ্য গোপন করে বিসিএস কর্মকর্তা “

৫ আগস্টের পর 'আত্মগোপনে' চলে যায়
রংপুরের সাবেক এসি ইমরান “ তথ্য গোপন করে বিসিএস কর্মকর্তা “

নীলফামারীর তিস্তা সেচ খালের তীর বাঁধ বিধস্ত হয়ে রোপা আমনের খেত নষ্ট

রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৫:৪৩

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী জেলা সদরের তিস্তা সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর সেচ খালের বামতীর বাঁধ ভেঙ্গে আমন ধান রোপন খেত নষ্ট হয়েছে। রবিবার(২০ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সদরের কালিতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে ওই ঘটনা ঘটে। এতে তিস্তার দিনাজপুর সেচ খালের চাঁদেরহাট স্লুইচ গেট থেকে নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের সেচের পানি প্রদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামতে জিও ব্যাগ ও মাটি ফেলে মেরামতের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কালিতলা ভাট্টাতলি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, শনিবার(১৯ জুলাই) রাতে এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে ইঁদুরের গর্তে ক্যানেল পাড়ের বাধেঁ ফাটল ধরে যায়। ফলে রবিবার সকালের দিকে হঠাৎ করে দিনাজপুর সেচ খালের পাড়ের মাটি পানির চাপে বিধ্বস্ত হয়। এতে ওই এলাকায় হু-হু করে পানি ঢুকে পড়লে এলাকার প্রায় ৩০ একর রোপা আমন খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন অনেক কৃষকের রোপা আমন পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে আবার নতুন করে চারা রোপন করতে হবে তিনি উল্লেখ করেন।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ (পাউবোব) নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ভারি বৃষ্টি পাতের কারণে পাড়ের মাটির উপর চাপ পড়ে যায়। এতে ইঁদুরের গর্তে পানি ঢুকে পাড়ের ৩০ ফিট বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে সেখানে জিও ব্যাগ ও মাটি দিয়ে ভাঙা অংশে মেরামত করা হচ্ছে। আশা করি আগামী দুইদিনের মধ্যে বিধ্বস্ত বাধটি মেরামতের মাধ্যমে নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় সেচ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ যে, তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে গত পহেলা জুলাই থেকে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খরিফ-২ মৌসুমী আমন ধান উৎপাদনে ৬৩ হাজার হেক্টর এলাকায় সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সেচ প্রদান শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় ৩৯ হাজার হেক্টর, রংপুর জেলায় ১৪ হাজার হেক্টর এবং দিনাজপুর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর। 

মন্তব্য করুন


Link copied