নিজস্ব প্রতিবেদক : উজানের ভারী বর্ষণে তিস্তায় পানি বাড়ছে। বন্যার আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় রয়েছে নদীপারের মানুষ। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর বিপদসীমার ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
ওই পয়েন্টের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাতে পানিপ্রবাহ ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার হলেও রোববার (২০ জুলাই) সকালে প্রবাহিত হয় ৫২ সেন্টিমিটারে। সন্ধ্যা ৬টায় তা বেড়ে ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিপদসীমা অতিক্রম করলে নীলফামারীসহ ভাটি অঞ্চল রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বন্যা দেখা দিতে পারে।
এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির খবরে নদীপারে বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষজন উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিপদসীমা অতিক্রম করার আগেই বন্যাকবলিত হয় রংপুরের গঙ্গাচড়ার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলো। এসব অঞ্চলের মানুষ ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু নিয়ে উৎকণ্ঠায় পার করছে সময়
গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের মটুকপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, সকাল থেকে পানি বাড়তেছে। রাতের মধ্যেই বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এমন আশঙ্কার কথা জানান, রমিজ উদ্দিনসহ অনেকে।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, উজানে প্রবল বর্ষণে তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরের মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়বে। আমরা সবসময় বিষয়টি পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছি।