নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় এক উবার চালককে মারধরের অভিযোগে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় এবং এক ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনার সময় গায়কের সঙ্গে তাঁর প্রক্তান স্ত্রী সালসাবিল ছিল বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। যা নজর এড়ায়নি তাঁর।
এ ঘটনার পর আজ রোববার (২০ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এসে নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল বলেন, ‘আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক কল এবং টেক্সট। আমার আত্নীয়-স্বজন, বন্ধুদের কাছ থেকে। কারণ, আমার নামে সংবাদ প্রচার হয়েছে। আমি না কি গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছি। এই সংবাদগুলো যেনতেন গণমাধ্যম করেনি। খুবই পরিচিত গণমাধ্যম আমার নাম দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।’ তিনি যোগ করেন,’আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে অনেক সাংবাদিক যুক্ত আছেন। তাছাড়া অধিকাংশ সাংবাদিকের কাছে আমার নাম্বার আছে। সাংবাদিকতা হলো একটি কমিউনিটি, যার কাছে আমার নাম্বার নেই। সে চাইলেই অন্য কারও কাছ থেকে আমার নাম্বার নিতে পারে। আমি পেজে বা ই-মেইলে সব সময় একটিভ থাকি।
আমাকে কেউ মেইল করলে অবশ্যই রিপ্লাই করি।’ নোবেলের প্রক্তান স্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতারের সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমি একটা সমাজে চলি। আমার পরিবারে আছে। এই ধরণের সংবাদ একটা পরিবারের জন্য খুবই অসম্মানের। একটা মেয়ে হিসেবে মদ্যপ অবস্থায় মধ্যরাতে গ্রেফতার হয়েছি। এই ধরণের সংবাদ আমার এবং আমার পরিবারের জন্য কতটা হয়রানির তা বলাই বাহুল্য।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে নোবেলের সালসাবিল ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি জানতে চাই এইধরণের সংবাদ যারা করেছেন। তাঁদের সোর্সটা কী? এটা কি জরুরি ছিল না আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা।
আমার তো একটা ফ্যামেলি আছে। একটা সমাজ আছে। আমি একটা সমাজে বাস করি। আত্নীয়, বন্ধু, পরিবারের সদস্যরা আমাকে ফোন দিচ্ছে আমি ঠিক আছি কিনা? সাংবাদিকদের কাছে আমার প্রশ্ন, এধরণের সংবাদের সোর্সটা কী? যারা এধরণের সংবাদ প্রচার করেছেন তাঁদের কি একবারও মনে হয়নি যেহেতু আমার নাম আছে। তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। নিউজের সত্যতা যাচাই করার কথা কি একবারও মনে হয়নি?’ ফেসবুক লাইভের ঘণ্টা দুই পর একটি পোস্টে সালসাবিল লেখেন, ‘একজন মানুষ হ্যালুসিনেট করে আমার নাম বলছে, নাম ধরে চিৎকার করছে। এর মানে এই না যে আমি তখন ওঁর সাথেই ছিলাম। দয়া করে অপপ্রচার বন্ধ করুন। আমার কাছের মানুষরাই এখন আমাকে বিশ্বাস করছে না।’