আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

দিনাজপুরে ছাত্রলীগ কর্তৃক অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৩, রাত ০৯:৩৮

 দিনাজপুর সরকারি কলেজে কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও অর্থনীতি বিভাগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের অফিস সহকারীকে মারধর করে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আহমদ আলীর সময়ে কলেজে অফিস সহকারীর পদে দিন হাজিরা ভিত্তিতে তিনটি পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অধ্যক্ষ আহমদ আলীকে বদলি করা হলে তার স্থলে অধ্যক্ষ হন মোকাররম হোসেন। এরপর মোকাররম হোসেন ওই তিনটি পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের চাপে ওই তিন পদে তাদের মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে অধ্যক্ষ আশ্বাস দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মলয় কুমার কুন্ডু, রায়হান হান্নান দ্বীপ ও ফরহাদ হোসেনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। সোমবার ছাত্রলীগ জানতে পারে অধ্যক্ষ মোকাররম হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইদ্রীস আলী যোগসাজশ করে ছাত্রলীগের মনোনীত ব্যক্তিদেরকে অফিস সহকারীর পদে নিয়োগ প্রদান না করে তাদের একজনকে নৈশ্য প্রহরী ও দুই জনকে মালি পদে নিয়োগ প্রদান করেছে। বিষয়টি জানার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অর্থনীতি বিভাগে গিয়ে অধ্যাপক ইদ্রীস আলীকে না পেয়ে তার অফিস কক্ষ ভাঙচুর চালায়। পরে তারা বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে তাকে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানেও ভাঙচুর চালায়। বিষয়টি থামাতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান অফিস সহকারী এনামুল হককে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অফিসের বাইরে নিয়ে এসে পুনরায় মারধর করে। পরে বিষয়টি কোতয়ালী থানায় জানানো হলে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল পাঁচটায় এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষকরা ভাঙচুর করা দু’টি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে প্রধান অফিস সহকারী এনামুল হক তাকে মারধর করা হয়েছে স্বীকার করে জানান, তিনি টেলিফোনে কথা বলছিলেন, ভুল বুঝে তাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত পাল জানান, তারা এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না। এ ব্যাপারে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোকাররম হোসেন জানান, যে তিন জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের দাবি তাদেরকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবির ব্যাপারে তাদের সঙ্গে একটু গণ্ডগোল হয়েছে। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী তাদের কাছে কারো পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied