আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

রংপুরে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এতিম পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফাটল নিয়ে চলছে তদন্ত তদন্ত খেলা

মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৩, দুপুর ০৪:২০

# সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নির্দেশের একমাসেও জমা হয়নি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন # দ্বিতীয় দফায় এলজিইডি‘র উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শেষ: রিপোর্ট হিমাগারে # প্রথম তদন্ত টিমের দুই কর্মকর্তাকে বদলী, প্রধানকে বদলীর চেষ্টা ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের কাউনিয়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দু:স্থ এতিম প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ছাবেরা খাতুন ইসলামিয়া শিশু সদনের তিনটি ভবনে ভয়াবহ ফাটল এবং নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়মের ঘটনায় চলছে তদন্ত তদন্ত খেলা। এনিয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রথম দফায় তদন্ত টিম গঠিত হলেও সেই তদন্ত রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি। উপরন্তু দুর্নীতি-চক্র প্রথম দফা তদন্ত টিমের ২ কর্মকর্তাকে বদলি করিয়েছে। আর ওই তদন্তের প্রধান কর্মকর্তাকে বদলীর জোড় চেষ্টা করছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় এলজিইডি’র উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম তদন্ত করে গেলেও সেটির রিপোর্টও আলোর মুখ দেখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এ বিষয়ে সমাজসেবার মহাপরিচালককে ৭ দিনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিলেও এক মাস পার হলেও জমা হয়নি সেই তদন্ত রিপোর্ট। সব মিলে তদন্ত তদন্ত খেলায় বিল্ডিং তিনটি নির্মাণের শুভঙ্করের ফাঁকি বজায় রেখেই এতিমদের ভয়াবহ জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়ার অপেচষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে প্রকাশ, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বল্লভ বিশু গ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত এই শিশু সদন নির্মাণের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে অর্থায়নে এলজিইডির তত্বাবধায়নে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ টাকা ব্যায়ে ২ টি ৫ তলার ডরমেটরী এবং ১ টি ৪ তলার স্কুল কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের মে মাসে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিল্ডিং ৩ টি হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু বিল্ডিং নির্মাণ কাজে এলজিইডির রংপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের যোগসাজশে এসও আমিনুল ইসলাম ও বশির উদ্দিন এবং ঠিকাদারি ৩ টি প্রতিষ্ঠান এতিমদের লালন-পালন সদনটির ভবন নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি করে। শিডিউলের বাইরে দৈর্ঘ্যে ৩ ফিট ও প্রস্থে ২ ফিট ৬ ইঞ্চি ছোট করে বিল্ডিং নির্মাণ, গ্রেট বিম ও পিলারে ২০ মিলি রডের ডায়ার পরিবর্তে ১৮ মিলি রড এবং ছাদের ঢালাই সার্টারে ১০ মিলি রডের পরিবর্তে ৮ মিলি রড দেয়া হয়। দরজা জানালার ফ্রেমে সিলকড়ই অথবা চাপালিশা এবং পাল্লায় চিটাগাং টেক কাঠ দেয়ার থাকলেও তা অসার মাল্লা কাঠে তৈরির পর প্রাইম কোড দিয়ে রঙ্গিন করে লাগানো, সিঁড়ির হাতলে চিটাগাং টেক কাঠের পরিবর্তে অসার ও কাচা মেহগনি কাঠ দেয়া হয়। কলাপসিবল গেট এবং দরজা জানালার গ্রীল শিডিউল বহির্ভূত এঙ্গেল রড দেয়া এবং রেড অক্সাইড না দেয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়াও ২ নম্বর ইট, নিম্নমানের সিমেন্ট, ডালিয়ার বালির পরিবর্তে পুকুরের নিম্নমানের বালি, সিমেন্টের পরিমাণ কম দিয়ে বালির পরিমাণ বেশী দেয়া এবং কিউরিং করা হয় নি। পানি সরবরাহের জন্য ৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের আজিজ ন্যাশনাল পাইপের পরিবর্তে ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের নিম্নমানের আনোয়ার পাইপ লাগানো হয়। জিইসি ডিলাক্স ফ্যানের পরিবর্তে টঙ্গির নিম্নমানের ন্যাশনাল ফ্যান, নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী, বেসিন, টিউব-লাইট, সোলার সিস্টেমে অনিয়ম করা হয়। ফলে বিল্ডিংটির ভেতরে এবং বাইরে পুরো শরীরে ভয়াবহ ফাটল ধরে। দরজা জানালা পচে যায়। পলেস্তারা খসে যায়। এসব অনিয়মের বিষয় জানিয়ে সদন কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, এলজিইডি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করে। এছাড়াও ভবনটির অনিয়ম নিয়ে পত্র  পত্রিকা  ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশের প্রেক্ষিতে এলজিইডি মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে। তদন্ত কমিটির প্রধান এলজিইডির রংপুর অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান গতবছর  প্রথম দফা ১৭ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ ই অক্টোবর দিনভর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে আবারও তদন্তে যাবেন বলে সদনের সাধারণ সম্পাদককে জানান।  কিন্তু এই তদন্ত কমিটি আর ঘটনাস্থলে যান নি। রিপোর্টও দেয় নি। রিপোর্ট দেয়ার আগেই এলজিইডি ফাইনাল বিল দেয় ঠিকাদারদের। শুধু তাই নয়, এই তদন্ত কমিটি যাতে রিপোর্ট না দিতে পারে সেজন্য জড়িত দুর্নীতি চক্রটি তদন্ত টিমের দুই কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে মোটা অংকের টাকার দেনদরবার বদলী করে দেন। অপরদিকে  প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুজ্জামানকেও বদলীর জোড় তদবির চালাচ্ছে দুর্নীতি সিন্ডিকেটটি। এভাবে তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে রেখে বিল্ডিংটি হস্তান্তরের জন্য এলজিইডি চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সদন প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দেয়। চিঠি পেয়ে সদন কর্তৃপক্ষ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঠিকাদারদের নিয়ে এতিম ও এলাকাবাসীর সাথে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং মেজবানের আয়োজন করে। ওইদিন বেলা ২ টায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ, প্রকল্প পরিচালক ও সমাজ সেবার ডিডি হারুণ-অর-রশিদ, কাউনিয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, এসও বশির আহমেদ, আমিনুল ইসলাম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারীরা সদনে উপস্থিত হয়ে এতিমদের সাথে দুপুরের খাবার খান। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী বিল্ডিং ৩ টি পরিদর্শন শেষে ভয়াবহ ফাটলের চিত্র দেখে বিল্ডিংটি হস্তান্তর না করেই ফিরে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর মোটর সাইকেল যোগে কাউনিয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান ও এসও বশির আহমেদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ও এতিমরা তাকে ঘিরে রাখেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে সদনের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন। এনিয়ে গত ১ মে আবারও পত্র পত্রিকা ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে গত ৭ মে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (স্মারক নং- এলজিইডি/সিই/ই-১০৬/২০০০/৩৪১৫) একটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিতীয় দফায় তদন্ত টিম গঠন করে। কমিটির আহবায়ক এলজিইডি সদর দপ্তরের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনোয়ার উদ্দিন অপর দুই সদস্য বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী(প্রেষণে) সৈয়দ আহমদ আলী এবং উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী(প্রেষণে) মোঃ ফরিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে গত ২৫ মে কাউনিয়ায় বিল্ডিং ৩ টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শণকালে বিল্ডিংয়ের বর্তমান চিত্রের সাথে উপস্থাপিত অভিযোগের প্রতিটি বিষয় খুঁটিনাটি ও পরীক্ষা করেন ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সেখানে উপস্থিত এলজিইডির রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমানকে বিল্ডিংয়ের ফাটল, দরজা জানালা, ফ্যান, সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য কাজগুলো ঠিক করার নির্দেশ দেন। তবে তদন্তের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল পর্যন্ত ওই কমিটিও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় নি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার তদন্ত কমিটিকেও ম্যানেজ করে রিপোর্ট ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে জড়িত দূর্নীতিচক্রটি। এজন্য তাদের সাথে দেন দরবার অব্যাহত রয়েছে। এলজিইডির রংপুর অফিসের একটি সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ করানো হচ্ছে। তবে এখনও শতভাগ সফল হয় নি তারা। দ্বিতীয় দফা তদন্ত টিমের প্রধান এলজিইডির ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আনোয়ার উদ্দিন খান জানান, ‘ তদন্ত সঠিকভাবে করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সঠিক তদন্ত রিপোর্টই জমা দেয়া হবে। কোন তদবির আমাদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে পারবে না।’ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পত্র পত্রিকার সংবাদের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ গত ২ মে স্মারক নং ৪১.০০.০০০০.০৫৬.০২.১৩.০২৭..১২-৩৮৮ এর মাধ্যমে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ টি দপ্তরে ৭ দিনের মধ্যে ভবনের ফাটল ও নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা  ও উন্নয়ন শাখা-২ এর  সহকারী প্রধান পল্লব হাজরা স্বাক্ষরিত ওই চিঠি দেয়ার ৩৩ দিন পরেও এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কোন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় নি সমাজসেবা অধিদপ্তর। বরং মন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও চলছে তোলপাড়। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি চক্রের ম্যানেজ মিশনের হাত সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে প্রকল্প পরিচালক ও রংপুর সমাজসেবার ডিডি হারুণ অর রশিদ জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। ৭ দিন কম সময় হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’ এদিকে সমাজসেবার তদন্ত কার্যক্রমকেও প্রভাবিত করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা বিভিন্ন ধরনের চাপ ও তদবির করছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে ঠিকাদার ও নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকিও দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য টেন্ডারের মাধ্যমে ১ নং বিল্ডিংটি গাইবান্ধার সাইদুর রহমান, দ্বিতীয় বিল্ডিংটি রাজশাহীর বালিয়াপুকুর ঘোড়ামারা এলাকার আলম কনস্ট্রাকশন এবং তৃতীয় বিল্ডিংটির ওয়ার্ক অর্ডার পায় রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার লাবু আহমেদ কার্যাদেশ পান। কিন্তু সাইদুর রহমান নিজে কাজটি করলেও আলম কনস্টাকশন কাউনিয়ার মুন্না শফি এবং লাবু আহমেদ কাজটি লালমনিরহাটের জাহিনুরের কাছে বিক্রি করে দেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied