আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

জঙ্গি খোঁজে গাইবান্ধার চরাঞ্চলে র‌্যাব পুলিশের যৌথ অভিযান

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬, দুপুর ০৪:৩০

গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকেই সাঘাটার দিঘলকান্দি ও সিপি গাড়ামারা চরে এই অভিযান শুরু করা হয়। সকাল ১১টায় অভিযান শেষ হয়।

জানাগেছে, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির চরে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পরেই জঙ্গি পালিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করে। গাইবান্ধা পুলিশের কাছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদটি এলে সারিয়াকান্দি সংলগ্ন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণে সিপি গাড়ামারা ও দিঘলকান্দি চরে আকস্মিক অভিযান চালানো হয়। গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে ১শ’ ২০ জন র‌্যাব ও পুলিশ ওই দুটি চরে একই সাথে অভিযান শুরু করে। এব্যাপারে সাঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) কাওসার হোসেন জানান, জঙ্গি প্রতিরোধে চরাঞ্চলগুলোতে র‌্যাব পুলিশের এই যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ সূত্র থেকে এই অভিযান সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করায় এ খবর লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে দক্ষিণ দীঘলকান্দির সন্দেহজনক একটি বাড়ি থেকে দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযানকালে সন্দেহজনক এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় র‌্যাব ও পুলিশ। এসময় জঙ্গি ব্যবহৃত অস্ত্র, জেহাদি বই এবং বাড়িতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেয়া হয়। এদিকে চরে অভিযান শুরুর খবর শুনেই পার্শ্ববর্তী চরগুলো থেকে ভয়ে লোকজন অন্য চরে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা সংঘটিত হওয়ার পর দেশ জুড়েই জঙ্গি প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধার জেএমবি অধ্যুষিত সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে সাড়াশি যৌথ অভিযান শুরু করে র‌্যাব ও পুলিশ। এই জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৬৫টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্গম এবং জনবসতি কম হওয়ায় ইতিপূর্বে ওইসব এলাকায় জেএমবির ব্যাপক তৎপরতা ছিল। তদুপরি কোন চরাঞ্চলে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হলে ওই এলাকার মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির কারণেই তা সহজেই অবগত হতে পারে। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই জঙ্গিরা এই জেলার চরাঞ্চলগুলোতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ তাদের গোপন কর্মকান্ড তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে বলে গাইবান্ধার পুলিশ এবং প্রশাসন ধারণা করছে। এ কারণেই চরাঞ্চলগুলো জঙ্গি দমনে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied