আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

১২ বছর বয়সী শিশু রাজিয়ার বিয়ে বুধবার!

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৩, বিকাল ০৫:১০

: রাজিয়া খাতুন। বয়স ১২ বছর। বুধবার যখন তার বান্ধবীরা খেলাধুলায় মেতে থাকবে, ঠিক তখন বিয়ের পিঁড়িতে বসবে সে। অর্থাৎ বাল্যবিয়ের বলি হতে চলেছে শিশুটি। আর এ বিয়ের আয়োজন ইতোমধ্যে শেষ করেছে মেয়ে ও ছেলের পরিবার। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের উত্তর বাওচন্ডি খামারপাড়ার রাজা মিয়ার মেয়ে রাজিয়া খাতুনের(১২)সঙ্গে গোপালপুর ইউনিয়নের বারো ঘরিয়া এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে সিদ্দিক মিয়ার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে বুধবার। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা রাজা মিয়া এলাকার দু’শ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে দাওয়াত করেছেন। এ কারণে বাড়িতে টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেছে, উভয় পরিবারের সদস্যরা বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়িতে রাজিয়া কিংবা তার বাবা রাজা মিয়াকে পাওয়া যায়নি। রাজিয়ার মা জানান, সবাই বলছে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আপাততঃ বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, দাওয়াতিরা যাতে অসম্মান না হন এ কারণে তাদের যথারীতি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলের বাড়িতে গিয়ে কোনো পুরুষ মানুষকে পাওয়া যায়নি। ছেলের মা উপতারা বেগম কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এলাকাবাসী মাহবুল হক জানান, এটা একটি বাল্যবিয়ে। এ বিয়ে কখনোই হতে পারে না। বিয়ে বন্ধে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনোভাবেই এ বিয়ে হতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, যে কাজী ওই বিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এনজিও এসোডের উপজেলা ম্যানেজার শাহনাজ পারভিন ও কমিউনিটি কাউন্সিলর মনিরা আক্তার জানান, একটি ছোট্ট মেয়ের বিয়ে হচ্ছে, এটা কি মানা যায়। এ কারণে মেয়ের অভিভাবকদের নানাভাবে বোঝানো হয়েছে যাতে বিয়েটি না হয়। কিন্তু অভিভাবকরা কোনভাবেই এ বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‍“বাল্যবিয়ের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যে কাজী এ বিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অভিভাবকরা জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied