আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ      

 width=
 

প্রধান শিক্ষক নিজেই সরকারী বই বিক্রি করেন !

সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০১৬, সকাল ০৯:১৪

রোববার সকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সাতজনের লিখিত সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি। প্রধান শিক্ষক নিজে উপস্থিত থেকে বই বিক্রি করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে এমনটাই মিলেছে।

গত সোমবার দুপুরে পুরাতন কাগজ ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে ডেকে চলতি বছরের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির বিষয়ের ৯শ ৭৯ খানা কেজি দরে বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক আব্বাছ উদ্দিন। কাগজ ব্যবসায়ীরা বইগুলো ভ্যানগাড়ী করে নিয়ে যাওয়ার পথে আলেপের তেথতিতে ভ্যানগাড়ী জনতা আটক করে সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকুকে জানায়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা একাডেমীক সুপারভাইজার নিখিল চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থলে এসে বইগুলো তালিকা করে চেয়াম্যানের জিম্মায় রাখেন।

পরদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সহস্রাধিক এলাকাবাসী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ বিদ্যালয়ে এসে আইনী প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। কমিটির প্রাধান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও সদস্য করা হয় একাডেমীক সুপারভাইজার নিখিল চন্দ্র বর্মণ ও চর জীবিকায়ন কর্মসূচী (সিএলপি) কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে।

তদন্ত কমিটি রোববার সরেজমিন এসে বই পরিবহনের ভ্যানচালক, বই আটককারী আনোয়ার হোসেন রঞ্জু, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গাজীউর রহমান, অফিস সহকারী আব্দুস সামাদ, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী গোলাম মোস্তফা ও আব্দুল লতিফ এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের লিখিত সাক্ষ্য নেন।

ভ্যানচালক লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে ডেকে বই বিক্রির কথা বললে সে এসে বই ওজন করে ১ হাজার ৪শ টাকা প্রধান শিক্ষককে দিয়ে পথে যেতে ভ্যান আটক করেন স্থানীয়রা। সহকারী শিক্ষক গাজীউর রহমান বক্তব্যে জানান, প্রধান শিক্ষককে চলতি বছরের বই বিক্রি না করতে একাধিক শিক্ষক বারণ করলেও তিনি তা মানেননি। অফিস সহকারী আব্দুল সামাদ, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী গোলাম মোস্তফা ও আব্দুল লতিফও একই জবানবন্দি দেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, অফিস সহকারী, একজন সহকারী শিক্ষক এবং বইয়ের ক্রেতা (ভ্যানচালক), বই আটককারী এবং প্রধান শিক্ষকের লিখিত বক্তব্য নেয়া হলো।

এতে প্রধান শিক্ষক ছাড়া বাকী সবার কথায় বোঝা যাচ্ছে প্রধান শিক্ষক নিজে বইগুলো বিক্রি করেছেন। তবে প্রধান শিক্ষক ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied