কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই রহমাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলি জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বর্ণনা দিচ্ছিলেন হলের এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনের সামনে দাড়িয়ে ওই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নেয় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
হলের শতাধিক শিক্ষার্থীর একই অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানুর কাছে কোন সমস্যার কথা বললে তিনি বলেন, হলে থাকার দরকার নাই হল ছেড়ে চলে যাও। তাছাড়া যে কোন কাজ করতে হলে দিনের পর দিন তাদের পেছনে ঘুরতে হয়। তারা আমাদের সমস্যা তো দেখেনই না বরং ছাত্রীদের বলেন, তোমাদের সমস্যা দেখার দায়িত্ব আমার না। হলে সিট খাালি থাকা সত্বেও শিক্ষার্থীদের আবসিকতা প্রদান করা হয় না। এমনকি আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দ্বিধাবোধ করেন না।
শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষিকার পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে ৩০ মিনিট অবস্থান করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের অফিসে শিক্ষার্থীরা সকল দাবি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা হলের ২৪৬ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ছাত্র উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলি জেসমিন বলেন, আমরা বিরুদ্ধে সাজানো একটি অভিযোগ। এধরনের কোন কাজই আমি করিনি।আর পাক নেহাল বানুও একজন অমায়িক মানুষ।
জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে পাক নেহাদ বানু বলেন, আমি তো হলে সুষ্ঠু ভাবেই আছি। কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়েল ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমান বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা শুনেছি।ঘটনাগুলো সত্যি হয়ে থাকলে তা দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবো।
মর্তুজা নুর, ২৯ আগষ্ট ২০১৬