গত ২৩ আগষ্ট রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মিরপুরগামী একটি বাসে যাওয়ার সময় তিনি এই দুর্ঘটনায় পড়েন। সাংবাদিক ওয়াদুদ আলী বাস চালক ও হেলপারকে মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্প স্ট্যান্ডে নামবেন বলে জানিয়ে রামপুরা ব্রীজ (হাতিরঝিল) এলাকায় বাসে উঠেন। বাসটি আনসার ক্যাম্প এলাকায় এসে থামলে সাংবাদিক ওয়াদুদ আলী বাস থেকে নামার জন্য ডান পা সড়কে দেয়ার সময় হঠাৎ করেই বাস চালক দ্রুতগতিতে বাসটি রওনা দেয়। এতে ওয়াদুদ আলী বাস থেকে সড়কে পড়ে যায় এবং কোমর ও ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় তার ঘাড়ে ও কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে তার সফরসঙ্গী মহানগর জাসদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের নেতা শিহুরুল আলম স্মরন এবং মিরপুর-১ এ বসবাসকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রংপুরের পীরগাছা নিবাসী রায়হানুল ফেরদৌস শাওনসহ অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসক দ্রুত সাংবাদিক ওয়াদুদ আলীকে ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের (এন আই এন এস) জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে তার সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু সারাদিন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সন্ধ্যার পর তিনি কল্যাণপুর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে সেখানে জাতীয় অর্থপেডিক্স হাসপাতালের (পঙ্গু) সহযোগি অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের (এন আই এন এস) সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো সার্জন ডাঃ মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ কয়েকজন চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
চিকিৎসকরা সাংবাদিক ওয়াদুদ আলীকে আগের দেয়া ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ বাতিল করে নতুন ওষুধ দেন এবং গলায় সারভাইক্যাল কলার পড়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
তারা ১৫ দিন পুনঃবিশ্রামে থাকার জন্য পরামর্শ দেন।