আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

জজ মিয়া নাটক করি না- খালেদাকে আইজিপি

বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০১৬, দুপুর ০৩:৩৪

 ডেস্ক: জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান নিয়ে সংশয় থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এ নিয়ে তদন্ত করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, এখন পুলিশ কোনো ঘটনা নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজায় না। দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। আইজিপি বলেন, ‘২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার (ওই বছরের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায়) পর পুলিশ জজ মিয়ার নাটক করেছিল। আমরা এই কাজ করি না। ২০০৭ সাল থেকে পুলিশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে।’ গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় একটি বাড়িতে পুলিশের অভিযানে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরী ও তার দুই সহযোগী নিহত হন। তাদেরকে পুলিশ আত্মসমর্পণের সুযোগ দিলেও তারা তা গ্রহণ না করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পাল্টা হামলায় তিন জঙ্গি নিহত হয় বলে সেদিন জানিয়েছিলেন আইজিপি। ওই রাতেই রাজধানীতে এক আলোচনায় বেগম খালেদা জিয়া এই অভিযানকে সাজানো নাটক বলেন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের ধরে ধরে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে জঙ্গিদের জন্য খালেদা জিয়ার মায়াকান্না কেন সে প্রশ্ন তোলেন। খালেদা জিয়াই জঙ্গিদের শেকড় কি না-সেটা তদন্ত করে দেয়া দরকার বলেও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরদিন পুলিশ সদরদপ্তরে সাম্প্রতিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপির কাছে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর পুলিশের জজ মিয়া নাটকের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ওই গ্রেনেড হামলার পর পুলিশ নোয়াখালীর যুবক জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তাকে এই হামলার প্রধান কারিগর হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। জোট সরকারের মন্ত্রীরাও তখন জজ মিয়াকেই এই হামলার প্রধান হিসেবে প্রচার চলায়। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর জজ মিয়ার পুরো কাহিনি প্রকাশ হয়। জানা যায় জোট সরকারের আমলের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশেই মূল অপরাধীদেরকে আড়াল করতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়। ওই সময় জানা যায়, জোট সরকারের আমলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা জজ মিয়ার পরিবারকে নিয়মিত মাসোহারা দিতেন। বিনিময়ে জজ মিয়া যেন সত্যটা প্রকাশ না করেন, সেটাই ছিল শর্ত। নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া অভিযান নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘তামিম চৌধুরী ও তার সহযেগিরা নিহত হওয়ায় দেশ বড় ধরনের জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে।’ নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা করেছে পুলিশ নিখোঁজ হয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হয়েছে সন্দেহভাজন এমন ৪০ জনের তালিকা করার কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানান আইজিপি। তিনি বলেন, ‘আমরা এদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই এই তালিকা তৈরি করেছি। এদেরকে খোঁজার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা করছে।’ আইজিপি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কয়েকজন নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় আমরা প্রকাশ করছি না।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ আলী পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার  আছাদুজ্জামান মিয়া ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ফাতেমা বেগম।

মন্তব্য করুন


 

Link copied