এতে করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (৩সেপ্টেম্বর ) সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যরাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
তিস্তায় হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার সানিয়াজান, চর নিজ শেখ সুন্দর, পার শেখ সুন্দর,বাঘের চর, চর ঠাংঝাড়া, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয় আনী, সিংঙ্গীমারী, চর ধুবনী, সিন্দুর্ণা ,হলদীবাড়ী, পাটিকাপাড়া ও উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রাম।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, তার ইউনিয়নের চরঞ্চালরে বেশকিছু পরিবার এরই মধ্যে পানি বন্দি হয়ে পড়ছে। পানি বাড়ার সাথে বাড়ছে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা।
একই কথা বলেন সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর। তার ভাষ্য মতে. তার এলাকার তিস্তা পাড়ের মানুষজন কিছুদিন আগের বন্যার ধকল কাঁটতে না কাঁটতে ফের পানি বন্দি হয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ী আবারও নদীর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর সাহায্যের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি,আই,ও) ফেরদৌস আহমেদ জানান, তিস্তা চর এলাকায় পানি বন্দি পরিবার গুলোর খোঁজ খবর নিয়েছি। বন্যার্ত পরিবার গুলোর ত্রানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে কাছে আবেদন করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার বিকেল ৬ টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৩৫সেঃমিঃ(স্বভাবিক ৫২দশমিক ৪০ সেঃমিঃ)। যা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা ক্রমেই বেড়ে চলছে। রাতে ওই পানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছেন তিনি।