আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছে ৫০ লাখ পরিবার

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রাত ১১:৫২

ডেস্ক: গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষকে ১০ টাকা দরে চাল দিতে ‘পল্লী রেশন’ চালু হচ্ছে আগামী বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে দেশের ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে। ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি পরিবার মাসে পাবে ৩০ কেজি চাল। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এই রেশনিং ব্যবস্থায় বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল তারা নির্বাচিত হলে জনগণকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি এত দিন বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়ে তারা। দশম নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের তিন বছরের মাথায় এসে অবশেষে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। গত বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিব) সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা খুব শিগগির পল্লী রেশনিং চালু করতে যাচ্ছি। হতদরিদ্র, পঙ্গু, প্রতিবন্ধীদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করব। এই রেশন কার্ড যাদের হাতে থাকবে, তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারবে।” এর আগে শনিবার খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর মাসে এই কর্মসূচি চালু হতে যাচ্ছে। ভিজিএফ কার্ড বাতিল করে ৫০ লাখ পরিবারকে পল্লী রেশনিং কার্ড দেওয়ার কথা অবশ্য কয়েক মাস আগেই জানিয়েছিলেন  তিনি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পল্লী রেশনের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বছরে প্রয়োজন হবে ১০ লাখ টন চাল। সরকারের কাছে মজুদ থাকা চাল দিয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের হতদরিদ্র মানুষকে সুবিধা দিতে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তারা গ্রামে বসেই মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার‌্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন।’ এই ব্যবস্থা শুরু হলে মানুষের শহরমুখী প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জানান, সারা দেশের এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে পল্লী রেশনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন করতে প্রতি কেজি চালে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ২২ টাকা। আর মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ১০০ কোটি  টাকার বেশি। বছরে পাঁচ মাস এ কর্মসূচি চালু রাখা হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।  মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে প্রতি পরিবারকে। সূত্র জানায়, এই কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে জেলা ও উপজেলাভিত্তিক দারিদ্র্য সূচক ও জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী। এর মধ্যে রয়েছে ৭৫ শতাংশ দারিদ্র্য এবং ২৫ শতাংশ ঘনত্ব কোটা। সূত্র জানায়, পল্লী রেশনিংয়ের জন্য বাজার থেকে ৩২ টাকা দরে চাল কেনা হলেও প্যাকেজিং ও গুদামজাতকরণের পর কেজিপ্রতি দাম পড়েছে সাড়ে ৩৬ টাকা। প্রতি টন চালের বাজারমূল্য ৩৬ হাজার ৩৩৫ টাকা হলেও প্রস্তাবিত রেশন মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। ফলে প্রতি টন চালে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ২২ হাজার ৮৩৫ টাকা। এই কর্মসূচির চাল সংগ্রহের বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবে বলা হয়, দুই মাসে ৪ লাখ টন চালের প্রয়োজন হবে, যা খাদ্য অধিদপ্তরের মজুদ খাদ্যশস্য থেকে বিতরণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভিজিএফ খাতের অব্যয়িত তিন লাখ টন চালের মধ্যে দুই লাখ টন চালের অর্থ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা যেতে পারে। বাকি দুই লাখ টন চালের অর্থ খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকির মাধ্যমে মেটানো যেতে পারে। পরবর্তী বছরগুলোতে ভিজিএফ খাতের বরাদ্দ (চার লাখ টন) প্রত্যাহার করে তা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট খাতে স্থানান্তর করা যেতে পারে। পাশাপাশি বাকি ছয় লাখ টন চালের ভর্তুকি মূল্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেটানোর ব্যবস্থা করার কথা বলা হয় প্রস্তাবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied