জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায়কে। আগামী এক সপ্তাহের ভেতর তদন্ত টিমকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা দিলীপ কুমার বনিক।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য উক্ত উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারিভাবে মোট বরাদ্দ দেয়া হয় এক কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
এরমধ্যে ১৯৭ টি বিদ্যালয়ের ছোট,বড় ও মাঝারী মেরামতের জন্য ৪৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা, এবং ২৭টি বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ল্যাট্রিন মেরামতের জন্য ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১৫৩ টি বিদ্যালয় উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্তকর্তা মাসুদুল হাসান নিজেই এসব কাজের তদারকি করেন। কিন্তু কিছু কিছু বিদ্যালয়ের নামমাত্র এবং কোন কোন কোন বিদ্যালয়ের কাজ না করে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে শতভাগ কাজ করা হয়েছে দেখিয়ে সমুদয় অর্থ লুটপাট করা হয়।
অভিযোগ মতে তদন্ত টিম গঠন হওয়ার খবরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সোমবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উপজেলা অফিসে ডেকে এনে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে প্রধান শিক্ষকদের জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়। যা ওই সকল প্রধান শিক্ষকরা সাংবাদিকদের কাছে অকপটে স্বীকারও করে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বেগে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলেন আমি কি প্রধান শিক্ষকদের নিকট হতে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাক্ষর নিয়েছি। আপনারা (সাংবাদিক) কি আামার উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ যে আপনাকে বলতে হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বনিক সাথে কথা বললে তিনি তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠনের কথা নিশ্চিত করে বলেণন তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।