মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় প্রকল্পটির। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
এটিসহ ১২ হাজার ৮শ' ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় একনেক সভায়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৯ হাজার ৫শ' ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালের কাছে প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়কে ৮০টি ‘বাস-বে’ নির্মাণ করা হবে। যেন এসব এলাকায় কোনো ধরনের জটলা তৈরি না হয়, এড়ানো যায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র আরও জানায়, উন্নত দেশগুলোর মতোই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ চারলেনে। প্রকল্পের আওতায় এ সড়কের দু’পাশে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের লেনও তৈরি করা হবে। যার ফলে এটি ছয়লেনে প্রশস্ত হবে।
এর পাশাপাশি মহাসড়কে ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণের পর ব্যয় কমিয়ে ১১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের সরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।
২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।