ঐ উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিবর রহমান (৫৫) এর বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ ৫ দিন পরও তাকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হতদরিদ্র পরিবারটির পক্ষে কেউ সাহায্যে এগিয়ে না আসায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে এলাকার মানুষজন জানায়।
অন্যদিকে, মামলা তুলে নিতে একটি প্রভাবশালী মহল নীরিহ পরিবারটির উপর চাপ অব্যাহত রাখায় পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিশুকন্যা দক্ষিণ বাঁশজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়রে চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী(১৪)। শিশুটিকে ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পাথরডুবি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিবর রহমান (৫৫) ফুঁসলিয়ে সুযোগ বুঝে তার উপর পাষবিক নির্যাতন চালাতো। একপর্যায়ে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাঁপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হওয়ায় শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। উপায়ান্ত না পেয়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা শিশুটি পরিবারকে সব কথা খুলে বলে। ঘটনা ফাঁস হলে পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বাারস্থ হয়।
শিশুটির ভাই শামীম জানান, ঐ ইউপি সদস্য দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে নিয়মিত তার বোনকে বাড়িতে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে যেত। এরপর নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুঁসলিয়ে তার বোনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এ মেলামেশার কথা পরিবার কিংবা গ্রামের কাউকে জানালে তাকে একেবাড়েই প্রাণে মেরে ফলবে বলে হুমকী দিত। এ কারনে সে বিষয়টি কাইকে না জানিয়ে তাকে বিয়ে করবে জন্যই চুপচাপ ছিল।
শিশুকন্যার বাবা বলেন, ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় মুরব্বিরা তাদের বিচার করতে পারে না। স্থানীয় কয়েকজন নেতা এখন মামলা তুলে নেওয়াসহ গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
দক্ষিণ বাঁশজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন ও সহকারী শিক্ষক হামিদা বেগম ও নুর আহমেদ বলেন, এ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে চতুর্থ শেণির ছাত্রীকে অন্তঃসত্তা করার অভিযোগটি আমাদেরকেও জানিয়েছে। ঘটনা সত্য হলে আমরাও তার বিচার চাই।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মো. লতিফুল ইসলাম বলেন, শিশু নির্যাতন আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে এবং ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে। এ মামলার একমাত্র আসামী আজিবর মেম্বারকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে দাবি করেন।