নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেনীর এ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটি পায়ুপথের আঘাতে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি হলে গতকাল বুধবার শিশুটিকে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছে প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, উক্ত এলাকার হাজী পাড়া গ্র্রামের মৃত নুর আমিনের ছেলে আনজুরুল ইসলাম(১৮) হামিদুল ইসলাম ওরফে টুপিয়ার ছেলে জাহেদুল ইসলামের মাইক্রোবাসের চালক হিসাবে কর্মরত রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী দিন মুজুরের ছেলে ২য় শ্রেনীর ছাত্রকে বাঁশের পাতা ছেড়ার কথা বলে মাইক্রোচালক আনজুরুল বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে জোর পূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা চালায়। শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে তার প্যান্ট দিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং ভয়ভীতি দেখায় বলে নির্যাতনের শিকার শিশুটি জানায়। আবারো চিৎকারের চেষ্টা করলে চালক আনজুরুল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়ীতে এসে পায়ুপথে ব্যথা অনুভব করে কান্নাকাটি করতে থাকে। শিশুটিকে দ্রুত বোড়াগাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে শিশুটির পরিবারের উপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে প্রভাবশালীরা বলে তার মা জানায়। শেষে বুধবার বিকালে ডোড়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাচানের ছেলে মিজানুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে সালিশ মিমাংসার কথা বলে হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে বাড়ীতে ফেরত পাঠায়। শিশুটির বাবা অন্যত্র কাজের সুবাদে বাহিরে থাকায় শিশুটিকে নিয়ে তার মা চরম বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী জানান, মাইক্রোচালক আরজুরুল এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একাধিকবার স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ হয়। এলাকাবাসী তার বিচার দাবি করেছে।