গবাধীপশুর মাংসহীন হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর। গত মঙ্গলবার হতে এ পরিস্থিতি চলছে। মাংস ব্যবসায়ীদের ওপর পৌরসভার ধার্য করা বর্ধিত টোল কমানোর দাবিতে চার দিনের ধর্মঘট পালন করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। ফলে সকল মাংস ব্যবসায়ীরা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবারও সৈয়দপুর পৌর এলাকায় দেখা গেছে কোন মাংসের দোকান খোলা নেই। এতে ভোক্তারা পড়েছে বিপাকে। অনেকে দুরদুরান্তের গ্রামের হাটবাজার হতে মাংস ক্রয় করে আনতে বাধ্য হচ্ছে। অপর দিকে হোটেল গুলো চলছে একইভাবে।
সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মো. হাসান কোরায়শী বলেন আশপাশের জেলাগুলোর পৌরসভা সেখানকার পশু জবাইয়ের টোল এখনো গরুপ্রতি ২০ ও ছাগলপ্রতি ১০ টাকা হারে আদায় করছে। সৈয়দপুর পৌরসভা গত আগস্ট মাসে হঠাৎ করে গরু জবাইয়ে ১০০ ও ছাগল জবাইয়ে ৫০ টাকা হারে টোল নির্ধারণ করেছে। এর আগে এ পৌরসভায় গরু জবাই বাবদ ১৫ টাকা ও ছাগলে ৫ টাকা হারে টোল নেওয়া হতো। টোল বৃদ্ধি করায় এ নিয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা একাধিকবার পৌর কর্তৃপরে সঙ্গে কথা বললেও কোনো সুরাহা পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
তিনি জানান গত মঙ্গলবার থেকে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত পৌর এলাকায় পশু জবাই বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে ঈদের পর দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বলে সেই সাথে তাঁরা আশা করছেন, এ বিষয়ে পৌর মেয়র অবশ্যই একটা সমাধানে আসবেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে গেজেট অনুযায়ী ওই টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজেই মাংস ব্যবসায়ীদের আন্দোলন যুক্তিহীন।