আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু      

 width=
 

পেঁয়াজের কেজি ৮ টাকা!

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সকাল ০৮:৫০

ব্যবসায়িরা বলছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন বন্দরের ৩০ জন ব্যবসায়ি। এখন বন্দরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। সময়মত বাজারজাত করতে না পারায় ইতোমধ্যে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। একারণে ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক সুত্রে জানাগেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৬৮০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে আসে। তাতে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ। আবার গত তিন মাসের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্ট মাসে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৭৫৮টি ট্রাকে ৩৬ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ। আর জুলাই মাসে ১ হাজার ৩০৪টি ট্রাকে ২৫ হাজার ৭০৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

বন্দরের আড়তদাররা জানান, এক সপ্তাহ আগেও মানভেদে পাইকারি হিসেবে ১৪-১৭ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে পেঁয়াজ। কিন্তু এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৮ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

স্থানিয় আমদানিকারক এনামুল হক চৌধুরী ও মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ভারত থেকে এক কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হয় ১৩-১৪ টাকা। এই পেঁয়াজ পাইকারি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ৮-১০ টাকায়। কেজিতে ৫-৬ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

হিলি বাজারের আড়তদার শাহাবুল ইসলাম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে বর্তমানে ১০ টাকায় নেমেছে। আবার কখনো আরও কমদামে কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েকদিনে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ৮-১০দিন আগেও এই পেঁয়াজ ১৪-১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৩২-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়িদের একটি সুত্র জানায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হতো, স্থানিয় কিছু সমস্যার কারণে তার অধিকাংশ পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সেসব ব্যবসায়িরা ঝুঁকে পড়েছে পেঁয়াজ আমদানিতে। একারণে পেঁয়াজের এই দুরাবস্থা।

বন্দরের কয়েকটি আড়ত ঘুরে জানাগেছে, আমদানি করা ভারতের নাসিক, ভেলোর, ইন্ডোর, রাজস্থান, পাটনা থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজে ঠাসা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা ৮-১০ টাকা, একটু ভালো মানের ১১ টাকা দরে কিনছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied