মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বার) সকাল পৌনে আটটা থেকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত রংপুর মহানগরীসহ জেলার প্রায় ১৪ শতাধিক ঈদগাহ্ মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে ‘কোরবানির ত্যাগের মহিমায় দূরীভুত হোক অশুভ শক্তি, সন্ত্রাস-জঙ্গি ও নাশকতা’ এমন প্রার্থনা নিয়েই মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনে চোখের পানি ফেলেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
সকাল সাড়ে আটটায় রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে জামাত শুরুর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, রসিক মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহম্মেদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার রংপুরবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতা-কর্মীসহ প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
এদিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে নয়টায় গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে। এখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়াও পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, জিলা স্কুল মাঠ, রংপুর স্টেডিয়াম, কেরামতিয়া জামে মসজিদ, আশরাফিয়া জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জামে মসজিদ, দক্ষিণ মুলটোল জামে মসজিদ, মুন্সিপাড়া ঈদগাহ মাঠ, আদর্শপাড়া ঈদগাহ্ মাঠ, মুলাটোল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, জুম্মাপাড়া মাদ্রাসা মাঠসহ মহানগরীর ৭৫টিসহ রংপুরের প্রায় ১৪ শতাধিক ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ঈদের জামাতের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে ঈদের জামাতে বিশেষ মোনাজাত ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু সদনগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন এবং সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা সম্বলিত পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিতকরণ করা হয়েছে।