আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ডাচ বাংলা ব্যাংকে চাকরী করতো আজিমপুরের ‘জঙ্গি’

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, দুপুর ০২:৩৬

ওসি জানান, নিহত এ ‘জঙ্গির’ বাবা, বড় বোন ও ভগ্নিপতিকে সোমবার দুপুর আড়াইটায় গাইবান্ধা সদর থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় তানভীরের বাবা পুলিশকে জানান, তার ছেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৭ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে পরিবার নিয়ে মালয়েশিয়া যাবে বলে এ বছরের এপ্রিলে জানিয়েছিল। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।

জানা যায়, সাংগঠনিক নাম আব্দুল করিমের আড়ালে ঢাকার আজিমপুরে নিহত জঙ্গির প্রকৃত নাম তানভীর কাদেরী। তানভীরের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামারি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।

তানভীরের শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পর্কে বাতেন কাদেরী জানান, ঢাকা কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক নিহত এই ‘জঙ্গি’। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে। এরপর তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে চাকরি পায়। তানভীরের যমজ ছেলে সন্তান রয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৫টায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহতের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় কোনও মামলা ছিল না।

বুধবার পশ্চিম বাটিকামারি গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তানভীর কাদেরীর বাবা ও তাঁর পরিবারের লোকজন গ্রামের মানুষের সঙ্গে খুব একটা মিশত না। ঈদের সময় তানভীর দামি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে আসতো। ‘বেশি বেতনের ভালো চাকরি’ করতো বলেই স্থানীয়রা জানতেন। তার স্ত্রীও ‘বেশি বেতনের চাকরি’ করতেন। জানা যায়, তানভীরের বাবা আগে চাকরি করতেন। এখন জর্দার ব্যবসা করেন।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় তানভীর মারা যায়। এ সময় আটক হয় আরও তিন নারী ‘জঙ্গি’।

মন্তব্য করুন


 

Link copied