গুড়ুম গুড়ুম মেঘের গর্জন। আকাশে ছেয়ে যাচ্ছে কালো মেঘ। নামছে বৃস্টি। নিমিষেই আবার বৃস্টি উধাও। মেঘ কেটে বেড়িয়ে আসছে রোদ্রের তীক্ষ্ণতা। মৌসুমী বায়ু, দুইয়ের উপস্থিতিতেই ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে নীলফামারী সহ উত্তরের আবহাওয়া। এই মেঘলা আকাশ, ঝোড়ো হাওয়া, পরণেই চড়া রোদ নাজেহাল করছে পথচলা মানুষদের।
তাই বাড়ি হতে বের হতে হাতে থাকছে ছাতা । বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা নিয়ে বেরিয়ে রোদ আটকাতেও তা কাজে লাগাচ্ছেন পথচারীরা। অন্য দিকে রোদ বৃস্টিতে কাদাপানিতে ফুটবল খেলতে মেতে উঠে গ্রামের দুরন্ত বালকরা।
ঈদের দিন গত মঙ্গলবার হতেই চলছে এমনই খামখেয়ালি আবহাওয়ার রোদ বৃস্টির খেলা। বাংলা মাসের আষাঢ শ্রাবন পেরিয়ে ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে মানুষজন ছিল নাজেহাল। এখন আশ্বিনে এসে আবহাওয়ার দুই রূপে পড়েছে জনজীবন।আজ শনিবার দুপুরের পর নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ ভারী বৃস্টিপাত হয়।
অনেক প্রবীন ব্যাক্তি বলে থাকেন প্রতি বছরই বর্যার শেষে একসঙ্গেই চলতে থাকে রোদ ও বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের মতে এ বারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। মৌসুমী বায়ু কখনও সক্রিয় হচ্ছে, কখনও আবার দুর্বল হয়ে পড়ছে। তার জেরেই রোদ-বৃষ্টি চলছে।
উত্তরের আকাশে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। অন্য দিকে মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে রোদের তাপও বাড়ছে। গরম বাতাসে জলীয় বাষ্প মেশায় বায়ুমন্ডলে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তার জেরেই মৌসুমী বায়ু এখনও নীলফামারী সহ উত্তরবঙ্গের আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তাই কখনও ঝড়-বৃষ্টি আবার হাওয়ার টানে মেঘ সরে গিয়ে রোদের তীক্ষèতা ছড়িয়ে পড়ছে।