শুধু শোনা নয়, আমরা তা বলতেও ভালোবাসি। ভালোবাসা ভালো, তবে বেশি ভালোবাসা ভালো নয়। ভালোবাসা মানে এই নয় যে, সঙ্গী শুধু আপনার। তার কোন ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না। যাকে ভালোবাসেন তাকে তার মত থাকতে দিন। আমরা সঙ্গীদের যখন বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলি তা সম্পর্কের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাড়ায়। কেননা অতিরিক্ত ভালোবাসা সম্পর্কের ক্ষতি ছাড়া ভালো করে না। তাই সম্পর্ক অটুট এবং মজবুত রাখতে বেশি ভালোবাসার প্রকাশ না করাই ভালো।
জেনে নিন বেশি ভালোবাসা প্রকাশের নানা ‘সাইড ইফেক্ট’-
স্বাধীনতা হারানো
কেউ কখনই নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে চায় না। এমনকি ভালবাসার মানুষটির জন্যও না। কিন্তু আপনি যখন সঙ্গীকে অনেক বেশি ভালোবাসবেন তখন তাঁকে সব সময় আপনার আয়ত্তে রাখতে চান। সবসময় তার সঙ্গে সময় কাটাতে চান। এতে সঙ্গী তাঁর স্বাধীনতা হারায়। ফলে এক সময় সে ভালবাসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা
সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন রয়েছে ঠিকই, তবে এর মাঝেও কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কের জন্য ভাল। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কাছে থাকার অনুভূতি কখনোই সুখকর হয় না। এই অতিরিক্ত কাছে থাকাটাই এক সময় সম্পর্কের ইতি টানে।
ব্যক্তিগত বিষয়
অনেকেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনে করে ভালবাসার মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু নেই। এটা ভুল ধারণা। প্রতিটি মানুষের নিজের আলাদা একটা জগত আছে। নিজের একটি কাজের জায়গা আছে, আছে নিজস্ব বন্ধু মহল। যা প্রত্যেকেরই একান্ত ব্যক্তিগত। তাই সম্পর্ককে মজবুত রাখতে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রিয় মানুষটির সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। যেহেতু আপনি তাকে ভালোবাসেন, তার ওপর বিশ্বাস রাখুন। দেখবেন সম্পর্ক এমনিতেই অনেক ভালো থাকবে।
নিজস্বতা হারানো
ব্যক্তি বিশেষে সবার পছন্দ আলাদা। কাজেই এটা কখনই চাইবেন না, প্রিয় মানুষটি আপনার মত হোক। আপনি যা পছন্দ করবেন সে তাই করুক। সঙ্গীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন, তার ওপর বিশ্বাস রাখুন। যেহেতু আপনি তাকে তার মত দেখে ভালবেসেছেন, তাই তাকে তার মত করে থাকতে দিন। আর নিজেও নিজের মত থাকুন। কারো জন্যই নিজেকে বদলে ফেলবেন না। এই কাজটিও আপনার ভালবাসাকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য দায়ী।
কিছু না বলা
অতিরিক্ত ভালবাসা কারণে কোন অন্যায় করলেও আমরা সঙ্গীকে কিছু বলি না। এতে সম্পর্কে একটা পানসে ভাব চলে আসে। সম্পর্কে মান-অভিমান, খুনসুটি থাকবেই। এগুলোই আপনার ভালবাসাকে আরও মজবুত করে তুলবে। কাজেই কিছু না বলা বলা সম্পর্কের জন্য ভালো নয়।