জেলা যুবদল সভাপতি রইচ আহমেদ, সেক্রেটারি আনিছুর রহমান লাকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন, যুবদল নেতা তারেক হাসান সোহাগ ও আরিফ মিয়া জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার বিএনপি, যুব, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা তাদের ফুল ছিটিয়ে ও ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় কৃষক দল সভাপতি হাজী তাহের, সেক্রেটারী কাজী খয়রাত হোসেন, যুবদল সহসভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিজবুল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক হযরত বেলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম লিমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান বাবুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে নগরীর উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কারামুক্ত নেতাদের তুলে দেয়া হয় ট্রাকে।
বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় নগরীর প্রধান সড়কের একপাশ। মুহুর্মুহু সরকারবিরোধী স্রোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে পুরো নগরী। এসময় কারামুক্ত নেতারা দুই হাত তুলে নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের ভবন থেকে নগরবাসীরও তাদের কৃতজ্ঞতায় সাড়া দেন। প্রায় দুই ঘন্টা পর গ্রান্ড হোটেল মোড়ের বিএনপি অফিসে এসে শোডাউন শেষ হয়।
কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শুরু করে পার্টি অফিস আসা পর্যন্ত থেমে থেমে কমপক্ষে দেই শতাধিক পটকার বিস্ফোরণ করা হয। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের গাড়ির সামনেও পটকার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়।
গত ১৯ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ তাদের ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
সোমবার দুপুরে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাইকোর্টের জামিনের আদেশনামা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হেয়ারিং করলে বিচারক মনুসর আহমেদ তাদের জামনি মঞ্জুর করেন।