মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় নিহত হযরত আলীর লাশ বুড়িমারী জিরোপয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনবিঘা করিডোরে বিজিবি-বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জুলফিকার আলী, লালমনিরহাট-১৫বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী ও ভারতের কোচবিহার-২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক অজয় লুথরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দর জিরোপয়েন্টে হযরত আলীর লাশ হস্তান্তরের ভারতীয় কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ী থানার ওসি বিপুল সিনহা।
এসময় পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) অবনী শংকর কর লাশ গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নিহতের বড়ভাই জহুরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের বড়ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।’
লালমনিরহাট-১৫বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে কড়াপ্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফ সীমান্তে গুলিতে নিহতের সংখ্যা শূণ্যে নামিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের দহগ্রাম সীমান্তে মঙ্গলবার (২০-সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় হযরত আলীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে লাশ ভারতে নিয়ে যায়।
