রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুওে রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের চেম্বার ভবনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ, প্রতক্ষ্যদর্শী ও চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পক্ষ থেকে প্রতিবছরের মতো এবছরও রংপুরে শিল্প ও বাণিজ্য মেলার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আগামী নভেম্বরে মাসব্যাপি এ মেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, রোববার দুপুরে প্রকাশ্য ডাকের মাধ্যমে দরপত্র নিয়ে আলোচনা করার সময় রংপুর যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া ধাওয়ির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মহড়া দিতে দেখা যায়। হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের দু’পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লক্ষিণ চন্দ্র সাংবাদিকদেও জানান,মেলার দরপত্র প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠু হয় আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন জানান, আমাদের দাবি ছিল বাণিজ্য মেলার দায়িত্ব যেন স্থানীয়রা পায়। কিন্তু যুবলীগের নেতৃবৃন্দ দিনাজপুরের বিএনপির এক নেতার পক্ষে কাজ করায় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওলিউর রহমান জানান, দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আমারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দু’পক্ষই শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম জানান, মাসব্যাপি শিল্প ও বাণিজ্য মেলার দরপত্র নিয়ে আগ্রহীদের সঙ্গে চেম্বার ভবনে কথা হচ্ছিল। এসময় অংশগ্রণকারিদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফলে আমরা মেলার দরপত্রসহ অন্যসব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছি।