বুধবার রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুজাফর মোঃ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি রাহেলা খাতুন (৩০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের জয়দেব সরকার পাড়া গ্রামের আব্দার রহমানের মেয়ে রাহেলা খাতুন। তার সঙ্গে ২০০২ সালে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মহিপুর ইউনিয়ের চ্যাংমারী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়ার । বিয়ের এক বছর পর তাদের কোলজুড়ে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়ার পর থেকে রাহেলা খাতুনকে যৌতুকের কারণে প্রায় মারধর করত স্বামী লাভলু মিয়া। তাই অতিষ্ট হয়ে স্বামীকে ফাঁসাতে ২০০৪ সালে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মেয়ে সন্তান লাকি খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করে মা রাহেলা। এর পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে রাখে।
পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে একটি ইউডি মামলা দায়ের করে। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বামী লাভলু মিয়া বাদী হয়ে একই বছরের ১ অক্টোবর স্ত্রী রাহেলা খাতুনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।
এরপর ৯ মাসের মধ্যে ওই মামলার চার্জশীট আদালতে দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে ওই হত্যার দায়ের একমাত্র আসামি মা রাহেলা খাতুনকে অভিযুক্ত করা হয়। রাহেলা খাতুন আদালতে ওই হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৯ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত তার বিরুদ্ধে ওই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি রাহেলা খাতুন (৩০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করিম।