গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লার উরি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই, আবারো সন্ত্রাসী হামলা বারামুল্লায়।
স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় ঝিলম নদীর পাশে অবস্থিত ভারতের সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট, ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাম্প ও বিএসএফের ক্যাম্পে প্রথমে গ্রেনেড ছোড়ে ও পরে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় চার-পাঁচজন বন্দুকধারী অংশ নেয় এবং তারা ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল ও এর আশেপাশে ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চালায় তারা। ঘটনার পরপরই সেখানে পাঠানো হয় অতিরিক্ত সেনা ।
ওদিকে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর নতুন করে হামলা-পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সীমান্তে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্যই সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে দু’দেশ। যদিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বরবরাই অস্বীকার করছে পাকিস্তান। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন খুব শিগগিরই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করা হবে।
উরিতে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইট চালালেও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, ভারত কখনও কোনো দেশকে আক্রমণ করবে না।
এরপরও নিজেদের আকাশসীমায় মহড়া দিয়ে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এমন আশঙ্কার মধ্যে করাচি ও লাহোরের আকাশসীমায় বিদেশি বিমান চলাচলের জন্য উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। করাচিতে ৩৩ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে এবং লাহোরে ২৯ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে বিদেশি বিমানের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।