ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৭ অক্টোবর॥ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের গৃহবধু খালেদা বেগম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো নীলফামারী সদরের চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের ডিংডিংপাড়া গ্রামের মৃত আলতাব আলীর দুই ছেলে জিল্লুর রহমান (৩৫) ও জেনারুল ইসলাম (৩২)। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্য রাতে তাদের নিজ বাড়ি হতে আটক করে পুলিশ।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই রাতে মসজিদের ঈমাম স্বামী আজহারুল ইসলামের বাড়িতে অনুপস্থিতির সুযোগে অজ্ঞাত দৃস্কৃতিকারীরা তার স্ত্রী খালেদা কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার খালেদার বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিল। মামলার পর পুলিশ সে সময় খালেদার দেবর মঞ্জুরুল ইসলামকে(৩০) গ্রেফতার করে। তার দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী অনুযায়ী পুলিশ উক্ত দুই ভাইকে আটক করে। সেই সঙ্গে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী খালেদার স্বামীর বাড়ির গ্রামের আনিছুল (৪৫) আতœগোপনে থাকায় পুলিশ তাকে এখন গ্রেফতার করতে পারেনি।
বিভিন্ন সুত্র জানায় হত্যার শিকার ওই গৃহবধু খালেদা হত্যার পেছনে অনেক নেপথ্য কাহিনী কাহিনী রয়েছে। তার স্বামী রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলার নোহালী কচুয়া জামে মসজিদের ঈমাম। তিনি সপ্তাহে শুক্রবার বিকালে বাড়ি আসতেন এবং রবিবার সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ফলে স্বামীর অনুপস্থিতে খালেদার বাড়ীতে বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা ছিল। খালেদা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে ওই চক্রের হোতারা প্রতারনার টাকাগুলো হাতিয়ে নিতে খালেদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ শুক্রবার দুপুরে জানান, খালেদা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর এই ঘটনার ঘটনার পর পরেই খালেদার দেবর মঞ্জরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জেলা কারাগারে রয়েছে।