এদিকে, ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বুধবার অশোক কুমারসহ ৩ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- অশোক কুমারের সহযোগী বাবুল মিয়া (৪৫) ও অটোরিকশা চালক আনু মিয়া (৪০)। তারা এখন পলাতক রয়েছেন।
অশোক কুমার সরকার সুন্দরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং তিনি ওই উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দক্ষিণ বৈদ্যনাথ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুল চন্দ্র সরকারের ছেলে।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার বিনোদন কেন্দ্র ‘আনন্দ নগরে’ নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কলেজ শিক্ষক অশোক কুমার তাকে ধর্ষণ করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রী প্রতিবেশী বাবুল মিয়া ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পীরগঞ্জের আনন্দ নগরে নিয়ে যায়। তার সহযোগী ছিলেন আরেক প্রতিবেশী অটোরিকশা চালক আনু মিয়া। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের পিছু পিছু কলেজ শিক্ষক অশোক কুমারও রওনা দেয়।
সেখান থেকে ফেরার পথে এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে অশোক কুমার কিশোরটিকে ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসার সময় রংপুরের পীরগঞ্জের শানেরহাট এলাকায় রাস্তার ধারে এক বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অশোক। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে কতিপয় ব্যক্তি ছুটে এলে সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও অশোক কুমারকে তারা ধরে ফেলে।
সে সময় টাকা পয়সা দিয়ে অশোক কুমার ওই ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে সেখান থেকে সটকে পড়ে। এ সময় মেয়েটিকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা এলাকায় আসার পর ওই অটোরিকশা চালক মেয়েটিকে সেখানে নামিয়ে দিয়ে সরে পড়ে।
এ সময় মেয়েটি কান্না শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার কাছে ঘটনা জানতে পেরে সুন্দরগঞ্জ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার জবানবন্দির ভিত্তিতে নিজের বাড়ি থেকে অশোক কুমারকে গ্রেফতার করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসরাইল হোসেন জানান, মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অপর অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।