বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৩, বিকাল ০৬:৩৬
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ভারতের গজলডোবার সবগুলো গেট খুলে দেওয়া, অবিরাম বর্ষণ ও লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। তিনদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও তিস্তার পানিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গরপোতা- দহগ্রামের চর, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ধুবনী, কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাশিরাম, চর বৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার চন্ডমারী, দক্ষিণ বালাপাড়া, আরাজি ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছা, রাজপুর, তিস্তা, গোকুন্ডাসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বুধবার ভোর রাত থেকে পানি বিপদ সীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবান্দি পরিবারগুলো ঘড়বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করায় তার এলাকার ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন। এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে সরকারিভাবে কোনো এাণ বিতরণ করা হয়নি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ নির্বাহী প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন মন্ডল জানান, বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম