আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

আজ পার্বতীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, দুপুর ১১:৪০

 শাহ্ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর-দিনাজপুরের পার্বতীপুর মুক্ত দিকস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-সেনার কবল থেকে মুক্ত হয় পার্বতীপুর। ৭ মার্চ এর পর থেকে সারা দেশের মত পার্বতীপুরেও শুরু হয় অসহযোগ, আইন অমান্য আন্দোলন। ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস, স্কুল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পার্বতীপুরের সিদ্দিক মহল্লায় অগ্নি সংযোগ করে। ২৬ মার্চ দেশব্যাপি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত ট্রেনিং না থাকায় দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, সরকারী কর্মচারী, কিশোর, যুবক সংঘবদ্ধ হতে শুরু করল। এরপর আড়াইশ তৎকালীন বেঙ্গল রেজিমেন্ট, পুলিশ আর আনছার বাহিনীর সদস্য এসে তাবু ফেলে খোলাহাটির আটরাই গ্রামের নুরুল হুদায়। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন আনোয়ার। এ বিষেয় প্রত্যক্ষদর্শী পার্বতীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আজগার আলী জানান, অবাঙ্গালীরা নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর ব্যাপক গুলি বর্ষন করে। অনেকে প্রাণ হারায় এ ঘটনায় বাঙ্গালী, ছাত্র, শিক্ষক,ব্যবসায়ীসহ হাজার মা-বোন। পার্বতীপুরে একদিনে ৩ শ’ এরও বেশী লোককে গুলি করে হত্যা করে আতংক ছড়িয়ে দেয়। নির্মমভাবে হত্যা করে শত বাঙ্গালীকে রেল ইঞ্জিনের ব্রয়লারে পুড়িয়ে ফেলে। পার্বতীপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সেলিম উদ্দীন সরকার জানান, ৮ এপ্রিল সবচেয়ে বেশী গনহত্যার ঘটনা ঘটায় পাক সেনারা। ১৩ ডেসেম্বর ভবানীপুর, হাবড়া, বেলাইচন্ডি, খোলাহাটি, হরিরামপুর এলাকার রাজাকার ও পাকসেনাদের ক্যাম্পগুলো মক্তিযোদ্ধাদের হাতে আক্রান্ত হলে হানাদার বাহিনী ও অবাঙ্গালীরা পার্বতীপুর ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে। ১৪ ডিসেম্বর প্রথম ভারতীয় বিমান বাহিনী পার্বতীপুরে বোম্বিং করে। এতে পার্বতীপুর রেলওয়ের তেলের ট্যাংকে আগুন ধরে ধ্বংস হয়ে যায়। পাক সেনাদের শেষ সামরিক গাড়িটির পলায়ন পথে বেলাইচন্ডির অদুরে বান্নির ঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরনে উড়ে যায়। ১৫ ডিসেম্বর পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শ’শ লোকজন প্রবেশ করতে থাকে। সোয়েব ভবন সহ সকল বড় বড় ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে বিজয় উল্লাস শুরু করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে এ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। শ্রত্রুমূক্ত হয় পার্বতীপুর।

মন্তব্য করুন


 

Link copied