সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৩, দুপুর ০২:১০
ওই এলাকার গুণী মহলের কোন ব্যক্তিই বলতে পারেন না। গাছটির কখন জন্ম, তাও কেউ বলতে পারেননি। তবে গাছটির বয়স আনুমানিক ৫শ’ বছরের অধিক হবে বলে এলাকার অনেক প্রবীন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে তারাও গাছটি সম্পর্কে তাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছেন। গাছটি যে শত শত বছরের পুরনো তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের সকল বৃক্ষরাজি থেকে এ গাছটি একেবারেই ভিন্ন। পার্শ্ববর্তী বাড়ির নরেন চন্দ্র রায় (৮৫) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার ৩ পুরুষ পর্যন্ত এ গাছটির বিষয়ে কোন পরিচয় জানেন না। তিনি বলেন, আমি-আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে গাছটির বয়স কমপক্ষে ৫শ’ বছর হবে বলে তিনি শুনেছেন। বৃট্রিশ আমলে ‘অচিন গাছ’ হিসেবে গাছটির নাম করণ করা হয়েছে। এর আগে গাছটির শাখা-প্রশাখা বেশ বিস্তীর্ণ ছিল। পার্শ্ববর্তী বাড়িতে এক সময় ওই গাছের ডালপালার জন্য রোদ পাওয়া যেতো না। পার্শ্ববর্তীরা দূর-দূরান্তে ধান-পাট শুকাতো। কালের পরিবর্তে গাছটির বর্তমান শাখা-প্রশাখাগুলো আপনা-আপনি কমে এসেছে। বর্তমানে গাছটি প্রায় ১০ শতাংশ জমির আয়তন ঘিরে রয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কখনও গাছটির ডাল ভেঙ্গে পড়ার কথা এলাকার লোকজন জানেন না। গাছটিতে পাইকোর গাছের ফলের মতো গোঁটা গোঁটা ফল ধরে এবং এসব ফল পশু-পাখি খায়। ওই গাছটি হতে লাখ লাখ ফল মাটিতে পড়লেও আজ পর্যন্ত ওই ফলের কোন গাছ জন্মায়নি। পূর্বে গাছটিতে বিশাল বিশাল আকৃতির বিষাক্ত শত শত সাপ বসবাস করতো। কিন্তু পার্শ্ববর্তী বাড়ির কোন মানুষের সাপগুলো কখনও কোন ক্ষতি করেননি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ও দূর-দূরান্তের সনাতন ধর্মের লোকজন মানত করে গাছটির গোঁড়ায় এসে পূজা-অর্চনা করে দান বাক্সে পূর্ণমনে দক্ষিণা দিয়ে দেন এবং দান বাক্সে লেখা রয়েছে গাছটির পাতা কেউ ছিড়বেন না। সনাতন ধর্মালম্বীরা গাছটি সংলগ্ন একটি মন্দির নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে সনাতন ধর্মের লোকজন জানিয়েছে। বর্তমানে গাছটির অযত্ন, অবহেলা আর রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে এর চারদিকে জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে। গাছটির পাতা সবুজ। তবে পাতা গুলো ডুমোর পাতার মতো হলেও পাতা ততো খসখসে নয়, মশৃণ। সারা বছর ধরে গাছে পাতা দেখতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, পুরনো পাতাগুলো রাতা-রাতি নতুন পাতায় রূপান্তরিত হয়। এ গাছের পাতার রস সাদা বর্ণের। সারাবছর গাছটি সু-শীতল ছায়া দিয়ে থাকে। কালের স্বাক্ষী হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ বিশাল আকৃতির গাছটি। গাছটির অজানা রহস্য জানতে গিয়ে কিছু পুরনো কথা আর কিছু মুখরোচক গল্প-কাহিনী ছাড়া কিছুই জানা যায়নি। বয়স্কদের ধারণা বর্তমান ভারতের আসাম রাজ্যের কামরূপ-কামাখ্যা হতে আগত একদল জাদুকর এই গাছটি চোখের পলকে উড়িয়ে এনে বর্তমান স্থানে লাগিয়ে দেয়। গাছটির নাম কেউ জানতো না। তখন থেকেই এই গাছটি ‘অচিন গাছ’ নামে পরিচিত। অপর এক পৌরনিক কাহিনী থেকে জানা যায়, কোন এক অজানা পীর সুদুর পশ্চিম দিক থেকে গাছটির চারা এনে এখানে রোপন করেছিল। সে কারনেই গাছটি কেউ চিনছেন না। তবে গাছটির যে একটি ঐতিহাসিক রহস্য রয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় গাছটির গোড়ায় প্রতিনিয়ত পূজা-পার্বন করে থাকেন। তবে দু’বছর পর পর জাঁক-জমক পূর্ণভাবে সনাতন ধর্মালম্বীরা পূজা-অর্চনা করে থাকে। এলাকার লোকের কাছে পূজা করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের পূর্ব-বংশধররা পূজা করেছিল। তাই আমরাও পূজা করে আসছি। যে উদ্দেশ্যে পূজা করি, সেটা সফল হয়। এই গাছটির রহস্য মানুষের কাছে আজও রহস্যই রয়ে গেছে। অজানা এই বৃক্ষটির নাম মানুষের মুখে মুখে ‘অচিন গাছ’ হওয়ায় ওই এলাকাটির নামও ‘অচিন গাছ’ হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে শত শত বছর ধরে।
ওই এলাকার গুণী মহলের কোন ব্যক্তিই বলতে পারেন না। গাছটির কখন জন্ম, তাও কেউ বলতে পারেননি। তবে গাছটির বয়স আনুমানিক ৫শ’ বছরের অধিক হবে বলে এলাকার অনেক প্রবীন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে তারাও গাছটি সম্পর্কে তাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছেন। গাছটি যে শত শত বছরের পুরনো তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের সকল বৃক্ষরাজি থেকে এ গাছটি একেবারেই ভিন্ন।
পার্শ্ববর্তী বাড়ির নরেন চন্দ্র রায় (৮৫) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার ৩ পুরুষ পর্যন্ত এ গাছটির বিষয়ে কোন পরিচয় জানেন না। তিনি বলেন, আমি-আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে গাছটির বয়স কমপক্ষে ৫শ’ বছর হবে বলে তিনি শুনেছেন। বৃট্রিশ আমলে ‘অচিন গাছ’ হিসেবে গাছটির নাম করণ করা হয়েছে। এর আগে গাছটির শাখা-প্রশাখা বেশ বিস্তীর্ণ ছিল। পার্শ্ববর্তী বাড়িতে এক সময় ওই গাছের ডালপালার জন্য রোদ পাওয়া যেতো না। পার্শ্ববর্তীরা দূর-দূরান্তে ধান-পাট শুকাতো। কালের পরিবর্তে গাছটির বর্তমান শাখা-প্রশাখাগুলো আপনা-আপনি কমে এসেছে। বর্তমানে গাছটি প্রায় ১০ শতাংশ জমির আয়তন ঘিরে রয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কখনও গাছটির ডাল ভেঙ্গে পড়ার কথা এলাকার লোকজন জানেন না। গাছটিতে পাইকোর গাছের ফলের মতো গোঁটা গোঁটা ফল ধরে এবং এসব ফল পশু-পাখি খায়। ওই গাছটি হতে লাখ লাখ ফল মাটিতে পড়লেও আজ পর্যন্ত ওই ফলের কোন গাছ জন্মায়নি। পূর্বে গাছটিতে বিশাল বিশাল আকৃতির বিষাক্ত শত শত সাপ বসবাস করতো। কিন্তু পার্শ্ববর্তী বাড়ির কোন মানুষের সাপগুলো কখনও কোন ক্ষতি করেননি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ও দূর-দূরান্তের সনাতন ধর্মের লোকজন মানত করে গাছটির গোঁড়ায় এসে পূজা-অর্চনা করে দান বাক্সে পূর্ণমনে দক্ষিণা দিয়ে দেন এবং দান বাক্সে লেখা রয়েছে গাছটির পাতা কেউ ছিড়বেন না। সনাতন ধর্মালম্বীরা গাছটি সংলগ্ন একটি মন্দির নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে সনাতন ধর্মের লোকজন জানিয়েছে। বর্তমানে গাছটির অযত্ন, অবহেলা আর রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে এর চারদিকে জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে।
গাছটির পাতা সবুজ। তবে পাতা গুলো ডুমোর পাতার মতো হলেও পাতা ততো খসখসে নয়, মশৃণ। সারা বছর ধরে গাছে পাতা দেখতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, পুরনো পাতাগুলো রাতা-রাতি নতুন পাতায় রূপান্তরিত হয়। এ গাছের পাতার রস সাদা বর্ণের। সারাবছর গাছটি সু-শীতল ছায়া দিয়ে থাকে। কালের স্বাক্ষী হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ বিশাল আকৃতির গাছটি। গাছটির অজানা রহস্য জানতে গিয়ে কিছু পুরনো কথা আর কিছু মুখরোচক গল্প-কাহিনী ছাড়া কিছুই জানা যায়নি। বয়স্কদের ধারণা বর্তমান ভারতের আসাম রাজ্যের কামরূপ-কামাখ্যা হতে আগত একদল জাদুকর এই গাছটি চোখের পলকে উড়িয়ে এনে বর্তমান স্থানে লাগিয়ে দেয়। গাছটির নাম কেউ জানতো না। তখন থেকেই এই গাছটি ‘অচিন গাছ’ নামে পরিচিত।
অপর এক পৌরনিক কাহিনী থেকে জানা যায়, কোন এক অজানা পীর সুদুর পশ্চিম দিক থেকে গাছটির চারা এনে এখানে রোপন করেছিল। সে কারনেই গাছটি কেউ চিনছেন না। তবে গাছটির যে একটি ঐতিহাসিক রহস্য রয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় গাছটির গোড়ায় প্রতিনিয়ত পূজা-পার্বন করে থাকেন। তবে দু’বছর পর পর জাঁক-জমক পূর্ণভাবে সনাতন ধর্মালম্বীরা পূজা-অর্চনা করে থাকে। এলাকার লোকের কাছে পূজা করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের পূর্ব-বংশধররা পূজা করেছিল। তাই আমরাও পূজা করে আসছি। যে উদ্দেশ্যে পূজা করি, সেটা সফল হয়। এই গাছটির রহস্য মানুষের কাছে আজও রহস্যই রয়ে গেছে। অজানা এই বৃক্ষটির নাম মানুষের মুখে মুখে ‘অচিন গাছ’ হওয়ায় ওই এলাকাটির নামও ‘অচিন গাছ’ হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে শত শত বছর ধরে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার