আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

আবার জাগবে শাহবাগ ও শাপলা- রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এরশাদ

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৩, দুপুর ০৩:২৮

এছাড়াও তিনি অন্য কোনো দল বা জোট লাভবান হলে মহাজোট ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে রংপুর পুলিশ হলে জাতীয় পার্টির বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, কুড়িগ্রামের তাজুল ইসলাম, রংপুর জেলা সেক্রেটারি আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহানগর সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন কাদেরী, জাতীয় যুব সংহতির রংপুর জেলা সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি হাসানুজ্জামান নাজিম, ছাত্রসমাজ জেলা সেক্রেটারি আশরাফুল হক জবা, মহানগর সেক্রেটারি সোবহান মজিদ বিদ্যুৎসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রতিনিধিরা।
সম্মেলনে ৫৮টি উপজেলা ও ২৩টি পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন। এ সময় নেতারা এরশাদকে মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসার দারি জানান।
প্রধান অতিথির বক্ততার প্রথমেই এরশাদ মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসা প্রসঙ্গে বলেন, “মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলে এখন আমাদের থাকতে হতো রাস্তায়। ছয় মাস আগে মহাজোট ছাড়লে নেতাকর্মীদের যেতে হতো জেলে। মিছিল-মিটিং করা যেত না।  বিএনপির মতো একটি বড় দল এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। আমি মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলে অন্য কেউ, কোনো দল বা জোট লাভবান হবে এ রকম অবস্থায় আমি মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসব না।”
তিনি বলেন, “আমি একজন সোলজার এবং খুব ক্যালকুলেটর মানুষ। কখন কীভাবে কোনো সময় মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেটার দায়দায়িত্ব আমার।”
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অভিমান করে বলেন, “আমরা বলেছি একক নির্বাচন করব। কিন্তু ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার মতো লোক আমাদের নেই। এই ব্যর্থতা আমার নয়। কিন্তু আমাকেই দোষারোপ করা হয়। এই ব্যর্থতা দলের তৃণমূলের নেতাদের। তোমরা তৃণমূলে নেতৃত্ব তৈরি কর। সৎ-যোগ্য প্রার্থী তৈরি কর।”
তিনি বলেন, “আগামী ২০২০ সালের মধ্যে আমরা আমাদের দলে ৩৩ ভাগ নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করব। এজন্য নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে নারীদের নেতৃত্ব অর্জনে সামাজিক, ধর্মীয় ও পারিবারিক বাধা রয়েছে।”
এরশাদ বলেন, “এখন নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক অর্থ এবং অস্ত্র। এর কোনো বিকল্প নেই। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বর্তমানের দেশের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে গেছে।”
সংসদ সম্পর্কে এরশাদ বলেন, “সংসদ এখন দুর্নীতি, প্রহসন এবং কুরুচিকর বক্তব্যের জায়গা। সংসদীয় গণতন্ত্র এখন অনেকটাই অকার্যকর।”
তিনি বলেন, “বিসিএসে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা প্রমাণ করেছে দলীয়করণ করার জন্যই ৫৫ ভাগ কোটা করা হয়েছে। কোটা কমানোর বিষয়টি সরকার ভেবে দেখলে ভালো হতো। নইলে জাতি একদিন দলীয়করণের কারণে মেধাশূন্য হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “দেশে এখন সন্ত্রাস, সংঘাতে ছেয়ে গেছে। তাই শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আমি দুরাশায় ভুগছি। সংশয়ে আছি। আমার মতো আপনার তথা দেশবাসীও সংশয়ে আছে।”
তৃণমূলে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এই সম্মেলনের আয়োজন করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এনডিএ নামের একটি বেসরকারি সংগঠন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied