পুর প্রতিনিধি: বিরলে ১গৃহবধূ ইউপি সদস্য ও চৌকিদার কর্তৃক গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিক এলাকাবাসী কর্তৃক অপমানিত। অবশেষে থানায় মামলা দায়ের।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর পুর্বে দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুর গ্রামের মধু সুধন রায়ের কন্যা চম্পা রানী (২২) এর বিরল উপজেলার ধামইড় ইউপির চৈতন্য দিঘী গুচ্ছ গ্রামের মৃত রবির পুত্র অমল রায় বুধুর সাথে বিয়ে হয়।
চম্পার স্বামী অমল রায় অরফে বুধু আধা-পাগল হওয়ার কারণে তার কু-চরিত্রী শাশুড়ী মঙ্গলী রায় বিয়ের পর থেকেই পুত্র বধুকে দিয়ে কু-কর্ম করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই ফলশ্রতিতে গত ১৫ জুন ২০১৩ ইং তারিখ শুক্রবার রাত ৯ টায় তার পুত্র বধু চম্পাকে বাড়ীর পার্শে দোকান ঘরে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানে কাশিডাঙ্গা এলাকার ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী ও চৌকিদার লক্ষন রায় আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
চম্পা দোকান ঘরে ঢুকার পর তারা চম্পাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে গনধর্ষন করে ছেড়ে দেয়। পরে অসহায় চম্পা নিরুপায় হয়ে গত ১৫ জুলাই ২০১৩ ইং তারিখে তার স্বামীর বাড়ী থেকে মায়ের বাড়ীতে পালিয়ে যায় এবং মাকে সমস্থ ঘটনা খুলে বলে।
পরে তার মা বাসন্তি বালা দিনাজপুর ও বিরলের ৭ টি এনজিও ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অবগত করলে গত শুক্রবার সকালে তাদের সহায়তায় বিরল থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দারণ ভাবে অপমান করে।
এসময় এলকাবাসী জানান, একটি মামলাকে ঢাকানোর জন্য মিথা ধর্ষন মামলা সাজানো হয়েছে। এব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাসন্তি বালা বাদী হয়ে চম্পার শাশুড়ী, ইউপি সদস্য ও চৌকিদারকে আসামী করে বিরল থানায় একটি ধর্ষন মামলা নং ১৩, তাং ১৯-০৭-১৩ ই্ং দায়ের করেছেন।