আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পাটগ্রামে ৪৩৪টি আনন্দ স্কুলের কোটি টাকা হরিলুট

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৩, রাত ১০:৩১

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ‘রিচিং-আউট-অব স্কুল চিলড্রেন’ (রস্ক প্রকল্প) অধীনে ৪৩৪টি আনন্দ স্কুলের পোষাক ও উপকরণের কোটি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদনে চেক নেয়ার দাবী করলেও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা-ই হয়নি।  শিক্ষকদের বেতন প্রদানের রেজ্যুলেশনে সই দেয়ার নামে স্কুলের শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষার্থীদের পোষাক ক্রয় বাবদ টাকা প্রদানের চেকে শিক্ষকদের জোর করে সই নিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। প্রকল্প পরিচালকের পত্রানুযায়ী শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপকরণ ও পোষাক বিতরণ নিশ্চিত করণের নির্দেশনা প্রদান করা হলেও তিনি উল্টো কৌশলে ওই খাতের কোটি টাকা আত্মসাত করছেন। এ কাজে সহযোগীতা করছেন স্বয়ং আনন্দ স্কুলের পোষাক ও উপকরণ নিশ্চিত করণ উপজেলা কমিটির সদস্যরা। রবিবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার একটি পৌর ও আটটি ইউনিয়নের ৪৩৪ টি আনন্দ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের চলতি বছরের চার মাসের বেতন, পোশাক ক্রয়, ঘর ভাড়া, ঘর মেরামত, পরীক্ষা ফি ও উপরকরণ বিতরণের অর্থ পাটগ্রাম সোনালী ব্যাংক শাখায় প্রতি শিক্ষকের হিসাব নম্বরে জমা হয়। শিক্ষকরা বেতন তুলতে গেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, স্কুল ব্যবস্থাপণা কমিটি কর্তৃক রেজ্যুলেশনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া চেকের টাকা প্রদান করা হবেনা। শিক্ষকরা ওই শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর চাইলে তিনি উপকরণ ও পোষাক বাবদ ১৯ হাজার ৫শ’ টাকার চেক দাবি করেন। অন্যথায় তাদের বেতনসহ অন্যান্য খাতের রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর করবেন না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। পরে শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে উপকরণ ও পোষাক বাবদ স্বাক্ষরিত চেকের পাতা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর নেন। রবিবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কক্ষে আনন্দ স্কুলের একাধিক শিক্ষক ক্ষোভের সাথে সাংবাদিকদের বলেন, উপকরণ, পোশাক বাবদ ১৯ হাজার ৫শ’ টাকার চেকের পাতা স্বাক্ষর করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে না দিলে তিনি রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর দিচ্ছেন না এবং চাকুরীচ্যুত করা হবে এ হুমকিও দিচ্ছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ পোষাক ও শিক্ষা উপকরণের চেক নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত চেকের পাতা নিচ্ছি। তবে এটা বৈধ কিনা এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াত মো. রহতুল্ল্যাহ বলেন, উপজেলায় ৪৩৪টি স্কুল দেখা সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য বিশিষ্ট পোষাক ও উপকরণ বিতরণ নিশ্চিত করণ কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বলেন, চেক নেয়ার ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা বা অনুমোদন দেয়া হয়নি। শিক্ষা অফিসার কোনোক্রমেই চেক নিতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied