আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

রংপুর ফোরলেন সড়কের ভবিষ্যৎ হিমাগারে; দুই ঠিকাদারকে জরিমানা

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৩, সকাল ০৯:৩৬

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরে ১৬ কিলোমিটারের ফোর লেন সড়কের কাজে আড়াই বছরে সরকারী বরাদ্দের মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ পেয়েছে রংপুরবাসী। ১২৬ কোটি টাকার বরাদ্ধ থাকলে অবহেলিত রংপুর পেয়েছে মাত্র ২৬ কোটি টাকা। কাজের মেয়াদ তিন বছর হলেও এরই মধ্যে আড়াই বছর কেটে গেছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) দাবী করে বলছে, আড়াই বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ২০ ভাগ। যদিও ১৬ কিলোমিটারের এই ফোর লেনে কোন কোন জায়গায় খোড়া খুড়ি ছাড়া আর কিছুই হয়নি। নতুন করে বরাদ্ধ না থাকায় কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। কাজের গতি কচ্ছপের গতিকেও হার মানিয়েছে। এদিকে, প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম আকাশ ছোয়ার অজুহাতে লোকসানের ভয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজই বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রংপুর সওজ বলছে, কাজ না করায় আমরা ওই ঠিকাদারদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা আদায় করেছি। দু’দুবার সময় বৃদ্ধি করার পরও সর্বশেষ চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষে করার নির্দেশ থাকলেও কাজ হয়েছে মাত্র ২০ ভাগ। এ দাবী সওজের। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০ ভাগ দাবী করলেও মূলত কাজ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ ভাগ। অথচ এ সময়ে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ হওয়ার কথা ছিল। ১২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ২০মার্চ উদ্বোধন করেন তৎকালিন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। রাস্তার কাজ শুরু হয় ৩০ নভেম্বর। সওজের রংপুর কার্যালয় বলছে, রংপুর মহানগরীর ১৬ কিলোমিটার চারলেন সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের মেডিকেল মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশের ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার কাজ পায় ‘বেসিক আই এএসএইচ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত দুই বছরে মাত্র ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ কাজ করার গত জুন মাসের শুরুতে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তাদেরকে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা তাদের বিল দেওয়া হয়েছে। সওজ দাবী করছে, কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে নগরের মডার্ন মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছাকাছি তিন কিলোমিটার সড়কের ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকার কাজ পান মইনুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার। ২৪ শতাংশ কাজ করে গত জুন মাসের প্রথম দিকে তিনিও কাজ বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে তাকেও দুই কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়। চলতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সওজ কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় তাদেরও ৮৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রংপুর সড়ক ও জনপদ (সওজ) জানিয়েছে, রংপুর মহানগরীর ফোরলেন সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে নিয়োজিত দু’জন ঠিকাদার গত জুন মাস থেকে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সে কারণে চলতি মাসের প্রথম দিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে এই দুই ঠিকাদারকে এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেসিক আই এএসএইচের মালিক তারিক হাসান বলেন, কাজ শুরুর পর নির্মাণসামগ্রী বিটুমিন ও জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে। এ কাজে চালিয়ে গেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের একই কথা বলেছেন, অপর ঠিকাদার মইনুল ইসলাম। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দুই বছর পেরিয়ে গেছে। ১২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। আগস্ট মাসের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজের গতি কিছুটা বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied