আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

দেশী-বিদেশী চক্রের রোশানলে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প ॥বন্ধের আশংকা!

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৩, সকাল ০৫:১৭

মোরশেদ মানিক, দিনাজপুর: দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক চক্রের রোশানলে দেশের একমাত্র ও বিশ্বমানের পাথর খনি “মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প” হুমকীর মুখে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতায় প্রকল্পটি বন্ধের আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতোপূর্বে উত্তোলন স্বাভাবিক হলে বহিরাগতদের ইন্ধনে চলে শ্রমিক অসন্তোষ ও ধর্মঘট চলেছে প্রতিনিয়ত। যখন পর্যাপ্ত মজুদ থাকে তখনও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশই বিশ্বমানের এ পাথরের বদলে নি¤œমানের আমদানীকৃত পাথর ব্যবহার করে থাকে। মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের এমনই এক নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, উত্তোলন হলে-শ্রমিক অসন্তোষ ও ধর্মঘট , মজুদ হলে-বাজার নেই, সরবরাহ না হলে- প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার আশংকা। কঠিন হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের পাথর উত্তোলন। চাহিদা অনুযায়ী খনি থেকে পাথর উত্তোলন করতে পারছে না খনি কর্তৃপ। নতুন সুড়ঙ্গ তৈরি না হলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খনির সুড়ঙ্গের পাথর শেষ প্রান্তে চলে আসা, যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে যাওয়া ও সুড়ঙ্গের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় পাথর উত্তোলন কমেছে এক-তৃতীয়াংশে। নতুন করে সুড়ঙ্গ তৈরি না হলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে চাকরি হারাবে সরাসরি ৭৬৬ শ্রমিক। তি হবে কোটি কোটি টাকা। মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে খনিটিতে পাথর উত্তোলনের জন্য ভূগর্ভে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে কোরিয়ার নামনাম মাইনিং কোম্পানি। সেই সুড়ঙ্গ পথ থেকে ২০০৭ সালে খনির বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন হয়। পর্যায়ক্রমে একে একে পাঁচটি সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হয়। কোম্পানিটি তিন শিফটে পাথর উত্তোলনের পরিকল্পনা কখনই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দুই বা এক শিফটে পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এতে প্রথম অবস্থায় দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৪০০ টন পাথর উৎপাদন করা হতো। সুড়ঙ্গ থেকে পাথর উত্তোলন শেষের দিকে হয়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ১ হাজার থেকে ১২’শ টন। এতে লোকসানের মধ্যেই পড়ে রয়েছে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প। উৎপাদনের ল্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন না হওয়ার কারণ উৎঘাটনে জানা গেছে, বাইরের কতিপয় ব্যক্তির উষ্কানীতে খনি শ্রমিকদের ঘন ঘন অসন্তোষ,আন্দোলন,ধর্মঘটের কারনে প্রায়ঃশ উৎপাদন ব্যাহত হয়। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ ক্রয়ে পিপিআর বাস্তবায়নে কালক্ষেপনও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ বলে জানা গেছে। খনির জিএম (প্রশাসন ও হিসাব) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, খনির পরিকল্পনায় ছিল তিন শিফটে পাথর উত্তোলন। যদি তিন শিফটে পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হতো, তাহলে পাথর বিক্রি করে এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যেত। তা ছাড়া এখানকার পাথরের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে দেশের উচ্চ মহলের কতিপয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী রাজনীতিক, প্রতিষ্ঠান ও মহল বিশেষ একটি সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির নিরীে মধ্যপাড়া শিলা উৎপাদন বন্ধে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তারা চায় বিদেশ থেকে শিলা আনতে। এতে লাভ বেশি। সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে শিলা আনার যে পরিমাণ অনুমতি লাভ করে। আনতে পারে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ। এসব আনাও হয় অবৈধ পন্থায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে। এ পরিস্থিতিতে সরকারই পারে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পকে অনিশ্চিয়কার হাত থেকে রক্ষা করতে এমনই প্রত্যাশা সকলের।

মন্তব্য করুন


 

Link copied