আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

অপহৃত নীলফামারীর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২জন ৭ দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৩, রাত ১১:১৬

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৩১ জুলাই॥ চুরি যাওয়া একটি মটরসাইকেল আতাঁতের মাধ্যমে উদ্ধার করতে গিয়ে মটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হাতে বগুড়া থেকে অপহৃত নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তুহিন ও তার বন্ধু প্রদিরাম চন্দ্র কে সাতদিন পরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখারা ইউনিয়নের মৌহার গ্রামের মহম্মদ আলীর বাড়ির একটি ঘরে তালাবন্ধ ও দড়িদিয়ে বাধা অবস্থায় এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তিন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সিমলা মুরদহ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র ফরিদ আলী (৩৫), তাড়াশ উপজেলার স্বরাপপুর গ্রামের মৃত কামেদ আলীর পুত্র বক্কার মন্ডল (৬৫) ও বিগমপুর গ্রামের দেরাজ উদ্দিনের পুত্র খালেক মন্ডল (৪০)। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জর জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখারা ইউনিয়নের মৌহার গ্রাম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যেভাবে উদ্ধার হলো এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র মতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখারা ইউনিয়নের মৌহার গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের মা মৃত্যু বরন করেন। তার নামাজে জানাজা ও দাফনের সময় ছিল বুধবার সকাল ১০টায় ওই গ্রামে । বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা দাফনে অংশ নিতে আসে। এ সময় এক মুসল্লি রমজান আলী উক্ত গ্রামের মহম্মদ আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই বাড়ির মালিক ঢাকায় দিনমজুরী করেন। ফলে তার বাড়িটি ছিল ফাকা। ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে মানুষের গংগানীর শব্দ শুনতে পায় উক্ত মুসল্লি। গংগানীর শব্দ পেয়ে উক্ত মুসল্লি চিৎকার দিলে নামাজে জানাজায় অংশ নেয়া মুসল্লিরা ছুটে এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে দেখতে পায় দুই ব্যাক্তি দড়ি দিয়ে হাত পা মুখ বাঁধা । তাদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে ঘটনার কথা জানলে অপহরনকারী তিনজন দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা অপহরনকারীদের মধ্যে ফরিদ আলী, বক্কার মন্ডল, ও খালেক মন্ডল কে আটক করে পুলিশ কে খবর দিলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তুহিন ও তার বন্ধু প্রদিরাম চন্দ্র কে উদ্ধার ও আটককৃত দের থানায় নিয়ে আসে। অপহরন হয় যে ভাবে পুলিশ জানায় নীলফামারী শহরের ব্যবসায়ী ও রামনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তয়েজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল হোসেনের একখানা ডিসকোভারী বাজাজ মটরসাইকেল গত ২২ জুলাই বিকালে জেলা শহরের মার্কস মসজিদ এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়। মুকুল তার মটর সাইকেলখানা উদ্ধারের জন্য রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুলের বাড়ি উক্ত ইউনিয়নের চরচরাবাড়ি গ্রামে গিয়ে সাহার্য্য সহযোগীতা কামনা করেন। মুকুলের অনুরোধে ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগের এক পর্যায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার আরাজি শিমুলবাড়ি গ্রামের হেফাজুল ইসলাম (২৯) চুরি যাওয়া মটরসাইকেলটি উদ্ধারে ইউপি চেয়ারম্যান কে আতাঁতের মাধ্যমে রংপুর ফেরত দেয়ার জন্য তার (হেফাজুল ইসলাম) বড়ভাই জোবায়দুল ইসলাম (৪০) কাছে যেতে বলেন। তার কথা মতো মুকুলের চুরি যাওয়া মটর সাইকেলটি উদ্ধারে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও চুরি যাওয়া মটরসাইকেলের মালিক মুকুল হোসেন সহ ৬জন মাইক্রোবাস যোগে ২৪ জুলাই সকালে রংপুর যায়। রংপুর পর্যটন হোটেলের সামনে থেকে হেফাজুল ইসলামের বড়ভাই জোবায়দুল ইসলাম কে মোবাইলকরা হলে তিনি মটরসাইকেলটি ফিরে পেতে তাদের বগুড়ায় যাওয়ার জন্য বলে। তারা ওই পথে বগুড়া চলে যান। সেদিন সন্ধ্যায় বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার লিচুতলা বাইপাস এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তুহিন ও তার সঙ্গী প্রদিরাম চন্দ্র রায়কে। এরপর মোবাইলফোনের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের কাছে ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসা হচ্ছিল। এ অবস্থায় গত শুক্রবার বগুড়ার শাহজাহানপুর থানায় অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যানের বড়ভাই শরিফুল ইসলাম রঞ্জু উল্লেখিত হেফাজুল ইসলাম এর বড়ভাই জোবায়দুল ইসলাম কে আসামী করে একটি মামলা করেন। এ অবস্থায় পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে জলঢাকা আরাজী শিমুলবাড়ি থেকে মামলার আসামী জোবাইদুলের ছোটভাই হেফাজুল কে গ্রেফতার করে বগুড়া নিয়ে যায়। এরপর সেদিন বিকালে বগুড়ার র‌্যাব ও পুলিশ হেফাজুল কে নিয়ে অভিযানে আরো দুই অপহরনকারীকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে অপহৃত চেয়ারম্যান ও তার বন্ধু কে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে র‌্যাব ও পুলিশ। এরই এক পর্যায়ে বুধবার বেলা পৌনে বারটার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখারা ইউনিয়নের মৌহার গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied