আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

টিউশনি পড়িয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে তাবাসসুম আক্তার

সোমবার, ৫ আগস্ট ২০১৩, বিকাল ০৬:৫৪

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৬ আগষ্ট॥ সংসারে অভাব-অনটনের কারণে টিউশনি পড়িয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেরও লেখাপড়া চালিয়ে তাবাসসুম আক্তার এবারের এইচএসসি পরীায় নীলফামারীর সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ব্যবসায় শিা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু ভাল ফলাফলেও তাঁর উচ্চ শিা গ্রহনের েেত্র দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। তাবাসসুম ভবিষ্যতে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রী নিয়ে একজন ব্যাংকার হতে ইচ্ছুক। তাবাসসুম আক্তারের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নিউ মুন্সিপাড়ায়। বাবা খলিল ও মা নুরজাহান। নিজের এক টুকরা জায়গায় কোন রকমে একটি ঝুঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন বাবা-মা সহ তাবাস্সুমরা। পাঁচ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তাবাসসুম সকলের বড়। তাবাসসুমের বাবা বাড়ির পাশে একটি দোকান ঘর তুলে সেখানে পান-সিগারেট বিক্রি করেন। ছোট্ট ওই দোকানে দিনে বেচা-বিক্রি করে যে আয়-রোজগার হয় তার ওপর নির্ভরশীল ৮ সদস্যের ওই পরিবারটি। অনেক সময় তাবাসসুমের বাবা খলিল ফেরি করে কলা বিক্রি করেন। তাই ওই অভাবী সংসারে নিজেই লেখাপড়া খরচ যোগাড় করেন মেধাবী ছাত্রী তাবাসসুম। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়িয়েছে সে। সেই আয়ে নিজের ও ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছেন তাবাস্সুম। এ অবস্থায় সে এবারের এইচএসসি পরীায় ব্যবসায় শিা বিভাগের জিপিএ-৫ পেয়েছে তাবাস্সুম আক্তার। একই শিা প্রতিষ্ঠান হতে ২০১১ সালে এসএসসি পরীায় ৪.১৯ পেয়েছিল সে।তাবাস্সুম জানায়,অভাবী সংসারে একজন মেয়ের পে লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া অত্যন্ত কষ্টকর কাজ। সে কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, বাবা-মার মুখে হাসি আর ছোট ভাইবোনদের দিকে চেয়ে মনের জোরেই নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছি। তাবাস্সুমের মা নূরজাহা জানান,এসএসসি পরীায় তার মেয়ে ভালো ফলাফল করতে পারেনি। পরে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে তাবাস্সুম। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে মেয়েকে ভাল খাবার-দাওয়ার দিতে পারেনি। তারপরও মেয়ে ভাল রেজাল্ট করেছে নিজের প্রচেষ্টা ও আগ্রহে। তাবাস্সুমের বাবা মো.খলিল জানান,আমি লেখাপড়া শিখিনি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর মতো সামর্থ্যও নেই। তারপরও বড় মেয়ে নিজের চেষ্টাও আগ্রহে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ছোট ভাই-বোনদেরও লেখাপড়ায় সহায়তায় দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন বড় কাসে মেয়েকে পড়ানোর সামর্থ্য নেই আমার। সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্য (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান,তাবাসসুম আক্তার খুব মেধাবী। তাঁর পরিবার অত্যন্ত গরীব। আমরা প্রতিষ্ঠানের প থেকে তাঁর লেখপাড়ায় যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছি। আগামীতে সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা পেয়ে তার উচ্চ শিা পথ সহজতর হতো ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied