আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন দূর্গনগরী

শুক্রবার, ৯ আগস্ট ২০১৩, দুপুর ১১:০৫

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,ভিতরগড় দূর্গনগরী বাংলাদেশে এযাবৎ প্রাপ্ত প্রাচীন দুর্গ-নগরীগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমোদনে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান ভিতরগড় দূর্গনগরীতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা ও উৎখননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে ৬ষ্ঠ শতকে নির্মিত নয়টি স্থাপত্যিক কাঠামোর নিম্নাংশ এবং মাটি ও ইট দ্বারা নির্মিত অভ্যন্তরীণ চারটি আবেষ্টনীর প্রকৃত স্বরূপ। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে একটি ক্রুশাকৃতির মন্দির এবং পূর্ব ও পশ্চিমে স্তম্ভবিশিষ্ট বারান্দা সম্বলিত একটি স্তুপ বা মন্দির। এখানে রয়েছে তালমা নদীর প্রাচীন প্রবাহের (বর্তমান শালমারা নদী) উপর পাথর নির্মিত তিনটি বাঁধের মতান্তরে

প্রস্তরে সেতুর ধ্বংসাবশেষ। ভিতরগড় দুর্গনগরীর অভ্যন্তরে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন দশটি দীঘি। তন্মধ্যে বিশালাকার মহারাজার দীঘির ৫৩ একর জমির উপর অবস্থিত, এর সুউচ্চ পাড়সমূহ ইট ও মাটি দ্বারা নির্মিত। পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ৩টি করে মোট দশটি ইট বাঁধানো ঘাট রয়েছে। ড. শাহনাজ আশা করছেন, খুব শীঘ্রই ভিতরগড় প্রত্নস্থলের পূর্ণাবয়ব বের করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, নির্মাণ পদ্ধতি দেখে এগুলোকে গুপ্ত যুগের পরে ধ্বংসাবশেষ। ভিতরগড় দুর্গনগরীর অভ্যন্তরে আবি®কৃত হয়েছে প্রাচীন দশটি দীঘি। তন্মধ্যে বিশালাকার সপ্তম শতক বা প্রায় দেড়হাজার বছর আগের তৈরি বলে অনুমান করা যায়। এছাড়া এসব স্থাপনা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বলেও আমাদের ধারণা। ২০০৭ সালে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় এলাকায় তিনি প্রথম প্রত্নতত্ত্ব জরিপ করেন। ২০০৮ সাল থেকে কয়েক দফা খনন কাজ করেন। সবশেষে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ৮৮ জন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আবারো খনন করে ওই স্তুপ ও মন্দিরের পুরো অবয়ব আবিষ্কার করেন।

002ভিতরগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের ফলে প্রাপ্ত নিদর্শন সমূহের আলোকে প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. শাহনাজ বলেন, “ষষ্ঠ থেকে সপ্তম-শতকে ভিতরগড় একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রাচীন বাণিজ্য সড়ক ও নদীপথের উপর অবস্থিত হওয়ায় ভিতরগড়ের অধিবাসীদের সাথে নেপাল, ভুটান, সিকিম, আসাম, কোচবিহার, তিব্বত, চীন, বিহার এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ বাংলার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বজায় ছিল।”

স্থানীয় জনশ্র“তি মতে, ভিতরগড় ছিল পৃত্থু রাজার রাজধানী। মূলত ভিতরগড় ছিল একটি দূর্গনগরী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৫ বর্গ কি,মি জায়গাজুড়ে এই দূর্গনগরী অবস্থান। অনেকেই অনুমান করেন, এই দূর্গনগরীটি ছিল মূলত রাজ্যের সুরীত রাজধানী। পার্শ্ববর্তী ভুটিয়া বা তিব্বতীয় দুর্ধর্ষ পাহাড়ি রাজাদের আক্রমণ থেকে রার জন্য সুরীত নগরী। দুর্গনগরী মূলতঃ চারটি আবেষ্টনীর সমন্বয়ে গঠিত। এই আবেষ্টনীগুলি কোনটি ইট আবার কোনটি মাটি দ্বারা গঠিত। একটি অপরটির ভিতরে অবস্থিত এবং প্রতিটি আবেষ্টনীই আবার বাইরের দিকে পরিক্ষা দ্বারা পরিবেষ্টিত। প্রাচীন এই দুর্গনগরীর চারটি আবেষ্টনী দেয়ালের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন অসংখ্য স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ এবং মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব। প্রত্নতত্ত্বের এক বিশাল ভাণ্ডার হওয়া সত্ত্বেও সরকারিভাবে ভিতরগড় প্রত্নস্থলকে এখনও পুরাকীর্তি আইনের আওতায় গেজেট করা হয় নি।

মহামান্য হাইকোর্ট একটি মানবাধিকার সংগঠনের আবেদনের প্রেতে দুর্গনগরীর ২৫বর্গ কি,মি এলাকায় সব ধরণের নির্মাণকাজ বন্ধ ও যেকোনো প্রত্নসম্পদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের জন্য নজরদারি রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রত্নতত্ববিদ ড. শাহনাজ হুসনে জাহান এবং সচেতন জনসাধারণ ভিতরগড়কে অতিসত্বর হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা দেবার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied