আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু       কিশোরীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাক্তির রহস্যজনক মৃত্যু       উপজেলা নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হতে চান না কেউ      

 width=
 

ঠাকুরগাঁও চিনিকলে ৪২ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত

সোমবার, ১২ আগস্ট ২০১৩, দুপুর ১১:১২

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ৪২ কোটি ৫৭ লাখেরও বেশি টাকার কয়েক হাজার টন চিনি অবিক্রীত পড়ে আছে। সুগার মিলের চিনির দাম আমদানিকৃত চিনির দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় ঘটেছে এই বিপত্তি। ব্যবসায়ীরা মিলের চিনি বিক্রি না করে আমদানিকৃত চিনি বিক্রি করছেন। এতে লোকসানে পড়েছে ঠাকুরগাঁও চিনি কলটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁও চিনিকলের যন্ত্রপাতি অনেক পুরনো, তাই কাঙ্ক্ষিত উত্পাদন পাওয়া যাচ্ছে না। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝে মধ্যেই চিনি উত্পাদন ব্যাহত হয়। এছাড়া আখ ও শ্রমিক সংকটসহ নানা কারণে সময়মতো ও চাহিদা অনুযায়ী চিনি উত্পাদন করাও সম্ভব হয় না। এসব সমস্যা ও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যেটুকু চিনি উত্পাদিত হয়েছে সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে না। চিনিকল কর্তৃপক্ষ বলছেন, উত্পাদন খরচ আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চিনি উত্পাদন করতে না পারায় চিনির গুণগত মান ভালো হচ্ছে না। ফলে বাজারে আমদানিকৃত চিনির মূল্য কম থাকাসহ ওইসব (আমদানিকৃত) চিনির চাহিদা থাকায় এ মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না। চলতি মৌসুমে ৮৫ হাজার ১০ টন আখ মাড়াই করে ৫ হাজার ৪৬৮ টন চিনি উত্পাদন হয়। মিলের চিনির দাম বেশি হওয়ায় ও বাজারে চাহিদা কম থাকায় এসব চিনি বিক্রি করতে আগ্রহী নন ব্যবসায়ীরা। চিনি ডিলার শাহাজাহান খান জানান, আমরা চিনিকল থেকে প্রতি মাসে শুধু ডিলারশিপ বাঁচাতে যতটুকু চিনি তুলতে হয় ঠিক ততটুকুই তুলি। কারণ মিল গেটে চিনির দাম ৫০ টাকা কেজি। অথচ বাজারে আমদানিকৃত চিনি পাওয়া যাচ্ছে ৪২-৪৩ টাকা কেজি দরে। ফলে কেজিতে ৭-৮ টাকা লোকসান দিয়ে মিলের চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক চিনি ব্যবসায়ী মাসুদ হাসানও জানান, মিলে চিনির দাম বেশি। তাই বাধা হয়ে বাইরের চিনি বিক্রি করছি। ফলে গত বছর মিলে উত্পাদিত ৮ হাজার ৫১৫ টন চিনি অবিক্রীত পড়ে আছে। এসব চিনির বর্তমান বাজার দর ৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব চিনি বিক্রি না হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন গুদামে পড়ে থাকায় ওজন কমে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্টও হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রীত থাকায় মিল কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছেন না বলে জানালেন শ্রমিক নেতারা। ঠাকুরগাঁও চিনিকল কর্মচারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস জানান, আমাদের অনেকের দু'এক মাস করে বেতন বকেয়া আছে। যারা অবসরে গেছেন তাদের সবার গ্যাচুয়িটির টাকাও বকেয়া আছ। চেম্বার সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, আমদানিকৃত চিনির গুণগতমানের সঙ্গে সুগার মিলের চিনির গুণগতমান একই রকম বজায় রাখতে হবে। এ জন্য উত্পাদিত চিনি রিফাইনিং ও বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার প্রয়োজন। একই সঙ্গে উত্পাদিত চিনির মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে হবে। ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক দিলীপ কুমার পাইন জানান, ব্যবসায়ীরা আমদানিকারদের কাছে সুযোগ-সুবিধা ও দাম কম পাওয়ার কারণে আমদানি করা চিনি বিক্রি করছেন। আমাদের চিনির দাম কম হলে চাহিদা বাড়তো।  

মন্তব্য করুন


 

Link copied